বাসের কাঙ্ক্ষিত অগ্রিম টিকিট মিলছে না
আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে যেতে বাসের অগ্রিম টিকিট মিলছে না। বিশেষ করে ৩০ ও ৩১ আগস্টের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। ফলে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে, আবার অনেকে অন্যদিনের টিকিট নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
শনিবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনেও ভিড় ছিল। তবে প্রথম দিনের চেয়ে ঢের কম।
মোহাম্মদপুর থেকে লালমনিরহাটের টিকিট কিনতে এসেছেন সম্রাট। হানিফ পরিবহনের টিকিট পেতে ভোর থেকে লাইনে আছেন। সকাল ৯টার পর কাউন্টার থেকে বলা হলো ৩০ ও ৩১ তারিখের টিকিট শেষ। টিকিট না নিয়ে তিনি শ্যামলী কাউন্টারে যোগাযোগ করেন। সেখানেও কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাননি তিনি। অগত্যা ২৯ তারিখের টিকিট নিয়েছেন। সেটাও সকালের টিকিট। রাতের টিকিট চেয়ে পাননি।
বাস কাউন্টারের ম্যানেজাররা বলছেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির শুরুর দিকে কাউন্টারগুলোতে বেশ ভিড় ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রথম দিনেই বেশির ভাগ রুটে ঈদের আগের কয়েকদিনের টিকিট হয়ে গেছে। ফলে এখন যারা টিকিটের খোঁজে আসছেন তাদের কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট না পেয়ে হতাশ হতে হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গাবতলীর ডিপজল পরিবহনের পর্বত কাউন্টারে। ওইদিন বেলা ১০টার দিকে কাউন্টারের সামনে বেশ কয়েকজন যাত্রীর ভিড় ছিল। সেখানেও কাঙ্ক্ষিত টিকিট না পাওয়ার কথা জানিয়েছন যাত্রীরা।
একই চিত্র হানিফ এন্টারপ্রাইজের বালুর মাঠের নিজস্ব কাউন্টারেও। শুক্রবার যেখানে ছিল উপচেপড়া ভিড়। আজ টিকিটের লাইনের দৈর্ঘ্য একেবার ছোট হয়ে গেছে। মানুষ কাঙ্ক্ষিত টিকিট না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন।
আবির হোসেন নামে এক টিকিটপ্রত্যাশী বলেন, কাঙ্ক্ষিত টিকিট না পেয়ে ২৯ তারিখের টিকিট নিলাম। তবুও ভালো লাগছে। পরিবার নিয়ে যেতে পারব।
তিনি বলেন, এত দ্রুত কেমনে টিকিট শেষ হয় বুঝি না। ১০ দিন আগে টিকিট কাটতে এসেও পেলাম না। আর টিকিট ছাড়ছে মাত্র একদিন আগে।
৩০ ও ৩১ আগস্ট এই দুইদিনের টিকিট অধিকাংশ যাত্রীই তা পাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে শ্যামলী কাউন্টার ম্যানেজার কবির হোসেন বলেন, অগ্রিম টিকিট ছাড়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। তাই নির্দিষ্ট দিনের টিকিট সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তবে বাসের টিকিট বিক্রিতে বেশি অর্থ আদায়ের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এমএ/বিএ/জেআইএম