দ্বিতীয় দিনেও কমলাপুরে লম্বা লাইন

আবু সালেহ সায়াদাত
আবু সালেহ সায়াদাত আবু সালেহ সায়াদাত , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৭ এএম, ১৯ আগস্ট ২০১৭

অগ্রিম টিকিটের জন্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রথম দিনের তুলনায় আজ ঘরমুখী মানুষের ভিড় আরও বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকিটপ্রত্যাশী মানুষের ভিড় আরও বাড়ছে।

টিকিটপ্রত্যাশী অনেকেই গত রাত থেকে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। শনিবার সকাল ৮টা থেকে কমলাপুরের ২৩টি কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আজ বিক্রি হচ্ছে আগামী ২৮ আগস্টের টিকিট।

সরেজমিনে দেখা যায়, অগ্রিম টিকিট সংগ্রহে অনেকেই অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। এরমধ্যে যারা আগে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে টিকিট পেয়েছেন। টিকিট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ। তিনি বলেন, ২৮ তারিখের টিকিটের জন্য সকালে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আজ প্রচণ্ড ভিড়, এত ভিড়ের মাঝে টিকিট পাব কি না তা নিয়ে সংশয়।

তিনি বলেন, অন্যান্য সময় বাসে যাতায়াত করি কিন্তু এবার সড়কপথে অতিরিক্ত খানাখন্দের কারণে দীর্ঘ যানজট এবং দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকায় ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টিকিট পেয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাজিম উদ্দিন। তবুও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি করে টিকিট কিনতে পারবেন। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। যে কারণে আমি আমাদের পরিবারের দুইজনকে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে, এটা খুবই বিরক্তিকর।

তিনি বলেন, টিকিট কাউন্টারে যারা দায়িত্বে আছেন তারা খুবই ধীরগতিতে কাজ করছেন। একজনকে টিকিট দিতেই তারা অনেক সময় নিচ্ছেন এতে করে পেছনে অপেক্ষমাণ মানুষদের বিরক্তি বাড়ছে। টিকিট সংগ্রহের জন্য প্রতিবারই ভোগান্তি পোহাতে হয় ঘরমুখো মানুষদের। সবকিছু বিবেচনা করে অনলাইনে টিকিটের সংখ্যা বাড়ানো উচিত।

টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গতকালের তুলনায় আজ টিকিটপ্রত্যাশীদের লাইন অনেক দীর্ঘ। উত্তরবঙ্গগামী টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টিকিটপ্রত্যাশীদের তুলনায় সীমিত টিকিটের কারণে অনেকে টিকিট পান না। এর জন্যই কে কার আগে লাইনে দাঁড়াবে তার প্রতিযোগিতা থাকে তাই মধ্যরাত থেকে অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কমলাপুর স্টেশনে মোট ২৩টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে এর মধ্যে ২টি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।

কমালাপুর স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, টিকিটপ্রত্যাশীরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে পারছেন। কোনো যাত্রী এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ জানাননি। কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ৩১টি ট্রেনের ২২ হাজার ৪শ ৯৬টি টিকিট বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ অনলাইন, ৫ শতাংশ ভিআইপি, ৫ শতাংশ রেলওয়ে কর্মকর্মতা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ। বাকি ৬৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য আজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ আগস্টের টিকিট। ক্রমান্বয়ে ২০, ২১ ও ২২ আগস্ট যাত্রীরা যথাক্রমে ২৯, ৩০ ও ৩১ আগস্টের টিকিট কাটতে পারবেন।

এএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।