অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম


প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪

অস্ট্রেলিয়া যেতে ভিসা আবেদন জমা দিতে হয় ভিএফএস সেন্টারে।

ঠিকানা
ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, ৫ম তলা, প্লট: ৩৭, সড়ক: ৯০, নর্থ এভিনিউ, গুলশান ২, ঢাকা- ১২১২।
ই-মেইল- [email protected]

হেল্প লাইন-
+ 88 02 9895894 (রবি থেকে বৃহস্পতি সকাল ৮:৩০ টা থেকে দুপুর ২ টা এবং বিকাল ৩ টা থেকে বিকাল ৪টা।

অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন এন্ড বর্ডার প্রটেকশন এর বাংলাদেশ অফিসটি রয়েছে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলীয় হাই কমিশন অফিস প্রাঙ্গণে।

ঠিকানা-
১৮৪, গুলশান এভিনিউ, গুলশান ২, ঢাকা-১২১২।
হেল্প লাইন- +8802 8813105 এক্সটেনশন 452 (রবি- থেকে বৃহস্পতি, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা)
ক্লায়েন্ট আওয়ার হল সকাল ৮:৩০ টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত, ওয়েবসাইট থেকে এপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে যেতে হবে।

নিয়মকানুন-
 -সর্বশেষ ফরম্যাটের 157A ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
 -স্টুডেন্ট ভিসার সাক্ষাতকারের জন্য আবেদন করা শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন থেকে যোগাযোগ করা হবে। এ সময় সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে।
 -কেবল পূর্ণকালীন কোর্সের জন্য ভিসা দেয়া হয়। খন্ডকালীন কোর্সের জন্য ভিসা দেয়া হয় না।
 -১৯৬৭ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে কাজ করছে কেবল এমন ব্যাংকের আমানত গ্রহণ করা হয়।
 -কোন এজেন্সির সাথে বিশেষ কোন চুক্তি নেই অস্ট্রেলিয়া সরকারের। কাজেই আবেদনপত্র নিজে জমা দেয়া বা ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে যেভাবেই জমা দেয়া হোক না কোন একইভাবে সেগুলোর মূল্যায়ন করা হয়।
 -ভিসা আবেদনের আগেই অস্ট্রেলীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করা হয়। তবে কোন অস্ট্রেলীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়াটাই ভিসার নিশ্চয়তা দেয় না। অন্যান্য শর্তও পূরণ করতে হয়।
 -শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া এবং টিউশন ফি দেয়ার প্রক্রিয়ায় অস্ট্রেলীয় সরকারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। স্টুডেন্ট ভিসা প্রত্যাখ্যাত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিজ দায়িত্বে ভর্তি ফি ফেরত নিতে হবে।
 -www.oanda.com সাইটটি থেকে মুদ্রা বিনিময়ে হারের (দুই দিনের বেশি পুরনো নয়) প্রিন্ট আউট দিতে হবে।

ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে বাংলাদেশি টাকায় অস্ট্রেলিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে ভিসা ফি জমা দেয়া যায়। ব্যাংক ড্রাফট মাশুল ৩০০ টাকা। ভিএফএস সেন্টারে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি কাউন্টারও আছে। ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও ভিসা ফি ফেরত দেয়া হয় না।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
 - সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি,
 - কোন কাগজ ইংরেজিতে না হলে সেটা সার্টিফাইড অনুবাদ যুক্ত করতে হবে,
 - কোন কাগজের মূলকপি চাওয়া হলে আলাদা খামে ভরে দিতে হবে,
 - বর্তমান এবং আগের পাসপোর্টের ব্যবহৃত পাতাগুলোর নোটারাইজড কপি (ভিএফএস অফিসে পাসপোর্টের ফটোকপি সত্যায়িত করা যায়),
 - ছয় মাসের বেশি পুরনো নয় এমন চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,
 - জন্মসনদের সত্যায়িত কপি,
 - সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠি বা তার সত্যায়িত কপি (এটি ফেরত দেয়া হবে না),
 - শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্ম-অভিজ্ঞতার সনদের সত্যায়িত কপি,
 - অস্ট্রেলিয়া পড়তে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে দেয়া বিবৃতি যেখানে সংশ্লিষ্ট কোর্সের মাধ্যমে আবেদনকারী কিভাবে উপকৃত হবে তার ব্যাখ্যা থাকবে,
 - স্পন্সরের সাথে আবেদনকারীর সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্ম-সনদ, পাসপোর্ট, কিংবা স্কুলের কাগজপত্রের ফটোকপি,
 - পূরণকৃত ফাইন্যান্সিয়াল গ্যারান্টি ফর্ম,
 - সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করার ইতিহাস থাকলে সেখানে কাজের রেকর্ড এবং ছাড়পত্রের ফটোকপি,
 - পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (১২ মাসের বেশি পুরনো নয়), যে সার্টিফিকেটের মাধ্যমে বোঝা যায় আপনি কোন  ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছিলেন কিনা বা আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন জানতে এখানে ক্লিক করুন।
 - বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী, সন্তানদের  সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্মসনদ, বিবাহ সনদ ইত্যাদির কপি দিতে হবে,
 - স্বামী-স্ত্রী কেউ মারা গিয়ে থাকলে বা বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে প্রমাণ হিসেবে মৃত্যুসনদ বা বিচ্ছেদসংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে হবে
 - ১৮ বছরের কম বয়সীরা অস্ট্রেলিয়া গিয়ে যার সাথে থাকবে তার সাথে সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।