ইউপি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়নি : সংসদে আইনমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ০২ জুন ২০১৫

সংসদ সচিবালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত  হয়নি। ইউপি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আইনি ব্যবস্থার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (ইলেকট্রনিক ভোটিং  মেশিন) বিধিমালা, ২০১৫ চূড়ান্ত করা হয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে সংদের বৈঠকে সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১) এর লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী অতীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। কয়েকস্থানে মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফলাফল প্রকাশে অসুবিধা হয়। মেশিনগুলো সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিমুক্ত করার পর কমিশন পুনরায় বিষয়টি বিবেচনা করবে।

দিদারুল আলমের অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াত রোধে নির্বাচন কমিশন ২০১১ সালের জুলাই হতে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর অ্যানহেনিসিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) শীর্ষক জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই সহজ করার লক্ষ্যে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি রোধে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে ৩ স্তরে প্রায় ২৫টির মত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট সন্নিবেশিত করা হয়েছে। যা একটি টেকসই নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে পরিগণিত হবে। এতে প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্টসমূহ খালিচোখে দৃশ্যমান হবে, দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসমূহ দেখতে বহনযোগ্য যন্ত্রাংশ যেমন (ইউভি লাইট, ম্যাগনিফাইটিং গ্লাস) লাগবে। এরপর তৃতীয় স্তরে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসমূহ দেখতে ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্ট লাগবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, স্মার্ট কার্ড প্রদানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। কার্ড প্রস্তুতের কার্যক্রম অতি শিগগিরই শুরু হবে। ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।

একই প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়। দক্ষিণে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট এবং চট্টগ্রামে ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়।

এইচএস/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।