বান্দরবানে ফোর মার্ডারে অংশ নেন তিন শ্যালক


প্রকাশিত: ০৩:৩৪ এএম, ০২ জুন ২০১৫

বান্দরবানে ক্যামলং এর খামার বাড়িতে চার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নুর বাহার (৪৩) দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী দিয়েছেন। সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরীর আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ জবানবন্দী দেন।

এর আগে গত ৩১ মে চট্টগ্রামে পটিয়া বার্মিজ কলোনী থেকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেব নুর বাহারকে আটক করা হয় । বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া আমিনের তিন শ্যালককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

গ্রেফতারের পর পুলিশকে নুর বাহার জানিয়েছেন, নিহত মোহাম্মদ আমিনের সঙ্গে ছয় বছর আগে নুরুন্নাহারের বিয়ে হয়। মোহাম্মদ আমিন তার তৃতীয় স্ত্রী নুরুন্নাহার, তিন বছরের ছেলে লালু, প্রথম স্ত্রীর ছেলে জোনায়েদ, বড় বোন বেগম বাহার, তার ছেলে মো. হামিদ ও ইলিয়াস একটি ঘরে এক সঙ্গে বসবাস করতেন। এক সময় খামারবাড়ির কেয়াটেকার গোপালের সঙ্গে আমিনের তৃতীয় স্ত্রী নুরুন্নাহারের মধ্যে অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে ফেলায় আমিন তার স্ত্রীকে মারধর করতেন এবং তাকে খুন করে ফেলার হুমকি দিতেন।

এছাড়াও এ বিরোধকে কেন্দ্র করে এক সময়ে শ্বশুর দিল মুহাম্মদ, স্ত্রী নুরুন্নাহার ও নুরুন্নহারের বড় বোন নুর বাহারকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন আমিন।

এ ঘটনার জের ধরে ছোট বোনের স্বামী মোহাম্মদ আমিন, তার বোন ও ছেলেদের হত্যা করার পরিকল্পনায় অংশ নেন নুর বাহারের ভাই আবদুর শুক্কুর, আবদুল মোন্নাফ ও নুর আমিন।

গত ২৯ মে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারলো দা ও কুড়াল দিয়ে রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদ আমিন, তার বড় বোন বেগম বাহার, আমিনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান জোনায়েদ ও বেগম বাহারের চার বছরের সন্তান মো. ইলিয়াসকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

হত্যা করার পরে নুর বাহারের তিন ভাই ট্যাক্সি নিয়ে খামার বাড়ি থেকে বান্দরবানের পটিয়ায় বড় বোনের বাসায় চলে যান।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মে বান্দরবানে কুহালং ইউনিয়নে আব্দুল মোতালেবের খামারবাড়িতে ধারালো দা ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় ৪ জনকে। তারা সবাই মিয়ানমারের নাগরিক বলে দাবি করে পুলিশ।

সৈকত দাশ/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।