সাম্প্রদায়িক বৈষম্য মানবেন না মোদি


প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ০১ জুন ২০১৫

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আচ্ছে দিন’ আসছে। তার এই মন্তব্যকে নিয়ে গত এক বছরে বিরোধীরা মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।

এরইমধ্যে গেল সোমবার প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘আচ্ছে দিন’ চলে এসেছে। এসময় তিনি বিশেষ কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যেরও তীব্র নিন্দা করেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘কোনও সম্প্রদায়ের প্রতি কোনওরকম বৈষম্য বরদাস্ত করা হবে না।’

সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে মথুরায় জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশের খারাপ দিন অতীত। আর এদিন বললেন, ভালো দিন চলে এসেছে। তিনি এই দাবির সপক্ষে বলেছেন, ‘আগের সরকারের আমলে প্রত্যেক দিন ছিল এক একটি খারাপ দিন। তখন একের পর এক দুর্নীতির কথা শোনা যাচ্ছিল। মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন।

আর এখন এক বছর পর, বিরোধীরাও বলতে পারবেন না যে, আমরা কোনও খারাপ কাজ করছি। সরকারের বিরুদ্ধে একটাও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। তাহলে এটা কি আচ্ছে দিন নয়?’

কয়েকদিন আগেই এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর স্যুট-বুটের সরকারের কটাক্ষের জবাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বলেছিলেন, সুটকেসের থেকে স্যুট-বুট অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। ৬০ বছর দেশ শাসন করার পর এখন কংগ্রেসের কৃষকদের কথা মনে পড়ছে। দেশের মানুষের দারিদ্রের জন্য মোদী কংগ্রেসের ‘অদূরদর্শী’ নীতিকে দায়ী করেছিলেন। গত ৬০ বছরে কংগ্রেসের নীতি ও শাসনের কারণেই দেশে দারিদ্রের সমস্যা রয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন মোদী।

এদিন সাক্ষাত্কারে মোদী জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জমি বিলের বিরোধীতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

তার দাবি, বিলে কৃষকদের ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উল্টে এতে লাভবান হবেন কৃষকরা।

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।