দিনাজপুরে পিটিআই শিক্ষকদের মানববন্ধন


প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ০১ জুন ২০১৫

অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে দিনাজপুর পিটিআই’র ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) শারমিন সুলতানাকে প্রত্যাহারের দাবিতে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ক্লাশ বর্জন করে মানববন্ধন করেছেন। এ আন্দোলনের কারণে রোববার থেকে পিটিআইতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানায়, গত ৯ এপ্রিল পিটিআই’র ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) শারমিন সুলতানা শিক্ষা দফতর সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠদান পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে তাদের সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে মোছা. রিতা বানুর রেজিস্টার খাতাসহ অন্যান্য কাগজপত্র ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেন। এরপর বাকী প্রশিক্ষণার্থীরা বিষয়টি দিনাজপুর পিটিআই এর সুপারিনটেনডেন্ট দিলরুবা চৌধুরীকে অবগত করলে বিষয়টি দেখবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

কিন্তু এতে প্রতিকার না হলে ১২ এপ্রিল আবার সুপারিনটেনডেন্ট বরাবর আবেদন করেন।  এভাবে বার বার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা না হওয়ায় প্রশিক্ষণার্থীদের ১৪০ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদন এর কপি দিনাজপুর পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট দিলরুবা চৌধুরী, ডিপিও দিনাজপুর লুৎফর রহমান ও  ডিডি রংপুর মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দেন। এরপর ডিডি রংপুর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ বিষয়ে তদন্ত করে গেছেন বলে জানান প্রশিক্ষণার্থীরা।

এ ঘটনার প্রতিকার না হওয়ায় রোববার শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ক্লাশ বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় পিটিআই কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে প্রশিক্ষণ ক্লাসে ফিরে যান। কিন্তু পিটিআই’র ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) শারমিন সুলতানা রোববার ৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় জিডি করেন।

জিডির সূত্র ধরে সোমবার সকাল ১১টায় পুলিশ ঘটনা তদন্তে এলে ক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ দুপুর ১২ টায় কালো ব্যাজ ধারণ করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।

প্রশিক্ষণার্থী রিতা বানু জানান, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিরল উপজেলার সেনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দেড় বছরের প্রশিক্ষণ নিতে আসি। কিন্তু এখানে আসার পর থেকে পিটিআই’র ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) শারমিন সুলতানার অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং গালিগালাজ শুনে নিজেকে শিক্ষক মনে হয়নি। তার আচরণে সকল শিক্ষক লজ্জা পেয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করে কোন প্রতিকার পাইনি। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত আমাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে পিটিআই’র ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) শারমিন সুলতানার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পিটিআই’র সুপারিটেনডেন্ট দিলরুবা চৌধুরী জানায়, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এমদাদুল হক মিলন/এসএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।