শুক্রবার 'অন্ধকার বাংলাদেশেই' ফিরছেন সিদ্দিকুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

অন্য ১০ জন শিক্ষার্থীর মতো সিদ্দিকুর রহমানও চেয়েছিলেন শিক্ষিত হয়ে দেশকে আলোকিত করতে। সেশন জোটের কারণে মৌলিক অধিকার শিক্ষা যখন পাচ্ছিলেন না তখন নেমেছিলেন রাস্তায়। আন্দোলনে ছিলেন প্রথম কাতারে। তবে দেশকে আলোকিত করার লড়াইয়ে নিজেই হারালেন আলো। পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার সেল তার চোখে লাগলে দুচোখের দৃষ্টি হারান সিদ্দিকুর রহমান।

'অন্ধকার বাংলাদেশ' ছেড়ে আলোর খোঁজে গেলেন ভারতের চেন্নাই। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। অপারেশন শেষে কোন আশার বাণী শোনাতে পারেননি ভারতের চিকিৎসকরা। শুক্রবার সেই রেখে যাওয়া 'অন্ধকার বাংলাদেশেই' ফিরছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। পরিবারের বরাত দিয়ে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্দিকুরের বন্ধু শেখ ফরিদ।

এদিন মালদিভিয়ান এয়ারের কিউ ২-৫৫০ (Q2-550) ফ্লাইটে দুপুর ৩ টা ২০ মিনিটে তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। এর আগে গত ২০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার সেল তার চোখে লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। ঘটনার পর প্রথমে তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং পরবর্তীতে সরকারি খরচে চেন্নাই পাঠানো হয়।

গত শুক্রবার তার অপারেশন করা হয়। শনিবার তার চোখের ব্যান্ডেজ খুললে বাম চোখে কিছুটা আলো দেখতে পান তিনি। তবে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি। তার দুই চোখের রেটিনার ৯০ শতাংশের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসার বিষয়ে আরও ২ মাস পর মন্তব্য করা যাবে বলে জানিয়েছেন ভারতের চিকিৎসকরা। তবে দৃষ্টিশক্তি ফেরার সম্ভাবনা কম বলেও জানিয়েছেন তারা।

সিদ্দিকুরের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত দাবি করে ৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করেছে পুলিশের উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করেছে কমিটি।

এআর/ওআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।