অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, ফের আইসিইউতে মুক্তা
বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামনির ডান হাতের বায়োপসির পর ওই হাতের ক্ষত স্থান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
শনিবার সকালে বায়োপসির পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে মুক্তাকে কেবিনে দেয়া হয়েছিল। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আবারও তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এখন তার চার ব্যাগের মতো রক্ত লাগবে। মুক্তার রক্তের গ্রুপ এ-পজেটিভ।
মুক্তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সকালে মুক্তার বায়োপসি সম্পন্ন হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামকে) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জাগো নিউজকে বলেছিলেন, মুক্তার বায়োপসি সম্পন্ন হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর রিপোর্ট দেয়া হবে। মুক্তা এখন ভালো আছে।
তবে তার কয়েক ঘণ্টা পরই মুক্তার ডান হাতের ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
এরইমধ্যে মুক্তার চিকিৎসার জন্য একটি বোর্ড গঠনসহ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।
এআর/এনএফ/এমএস