নির্দিষ্ট মেয়াদেই শেষ হবে মেট্রোরেলের কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২৪ এএম, ০২ আগস্ট ২০১৭

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজধানীর মেট্রোরেল তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট। এটির বাস্তবায়ন দ্রুত এগিয়ে চলছে। এজন্য রাজধানীবাসীকে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিতে হবে। বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট মেয়াদেই শেষ হবে।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও পয়েন্টে মেট্রোরেলের ট্র্যাক ও এলিভেটেড স্টেশন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো শব্দ হবে না। শিক্ষার্থীদের পড়ালোখায় কোনো ব্যাঘাত ঘটাবে না। লাইনের ওপর দিয়ে ট্রেন চলবে, সঙ্গে উন্নত স্টেশনও থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ প্রজেক্টের আওতায় যেসব বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, তার মধ্যে মেট্রোরেল অন্যতম। এটি আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প, যা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। সঙ্গে পদ্মা সেতুর কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই।

রাজধানীতে যানজট সামাল দিতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। কিন্তু রুট নির্ধারণ নিয়ে নানা জটিলতার কারণে কয়েক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্পটি চালুর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হবে তার দুই বছর আগেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দেবে ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে।

রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রকল্পটি দৈর্ঘ্য ২০.১ কিলোমিটার। এর মধ্যে উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্ল­বী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদালয় দোয়েল চত্বর, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে।

দ্রুতগতির এ মেট্রোরেল প্রতি চার মিনিট পরপর একটি স্টেশনে থামবে এবং প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

এমএ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।