দুগ্ধপৌষ্য শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতি
সুস্থ ও নিরোগ জাতি গঠনে সকল মাকে তাদের দুগ্ধপৌষ্য শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
মাতৃদুগ্ধপানের গুরুত্ব ও উপকারিতা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধপান টেকসই করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, যথার্থ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মাতৃদুগ্ধ শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ খাদ্য, যা শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করে। মাতৃদুগ্ধ শিশুর অধিকার। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মাতৃদুগ্ধপানের মাধ্যমে শিশুর সম্ভাবনাময় জীবনের শুরু হয়। মূলত মাতৃদুগ্ধ শিশু ও মা উভয়ের সুস্বাস্থ্য, দৈহিক ও মানসিক বিকাশসহ সামগ্রিক জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, প্রাচীনকাল থেকে গ্রামবাংলার মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করিয়ে আসছে। এর ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা যথেষ্ট নিশ্চিত হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা সম্পর্কে ইতিবাচক প্রচারণার ফলে মায়েরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তৃণমূল পর্যায়ে এ সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই প্রতিবছর বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিশুর সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত জরুরি। শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র অন্যতম লক্ষ্য অর্জিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপনের মাধ্যমে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তা সত্ত্বেও পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মায়েদের মাতৃদুগ্ধপানে উৎসাহিত করতে হবে এবং বিকল্প শিশু খাদ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে কর্মজীবী মায়েদের জন্য মাতৃকালীন সুরক্ষা বিধানে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি গুঁড়োদুধের পক্ষে রমরমা বাণিজ্যিক প্রচারণাও নিরুৎসাহিত করতে হবে।
এফএইচএস/আরএস/জেআইএম