‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে ডিসিরা চাইলেই পুলিশ পাবেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৭

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) চাইলেই পুলিশ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের চতুর্থ কার্য-অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য অনেক সময় পুলিশ পাওয়া যায় না। এ জন্য জেলা প্রশাসনে সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ জনের টিম গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রতি দেয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পুলিশ লাইনে সব সময় পুলিশ থাকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জন্য তারা (ডিসি) চাওয়া মাত্র পুলিশ পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘শুধু পুলিশ নয়, আনসারেরও টিম ওখানে থাকবে। পুলিশ, আনসার যখন যাকে চাইবে জেলা প্রশাসক কিংবা তার প্রতিনিধি তাকে পাবেন।’

ডিসিরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ১৪টি প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁড়ি, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্প পুলিশ- এগুলো আরও বৃদ্ধি, ফায়ার সার্ভিসের আরও কয়েকটি স্টেশন নতুন করে দেয়া ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন তারা। জেলখানাগুলোর আধুনিকীকরণের প্রস্তাব ছিল, প্রস্তাব ছিল মাদক নিরাময় কেন্দ্র করা, মাদক ব্যবসায়ী, যারা আত্মসমর্পণ করছেন তাদের পুনর্বাসন করা যায় কি না- এসব বিষয়ে প্রস্তাব ছিল। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত দিয়ে এসেছি।’

জেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে জেলা প্রশাসকদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তারা কোনো প্রশ্ন তোলেননি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশে এখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ভালো কাজ করছে, আমাদের গোয়েন্দারা ভালো কাজ করছে। আমরা তাদের কাছে আহ্বান করেছি সবাই মিলে কাজ করবেন। যখনই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মেসেজ দেয়া কিংবা তাদের প্রয়োজন মনে করবেন তাদের সঙ্গে বসে মিটিং করে কাজ করবেন।’

ডিসিরা কাজ করতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক চাপের কথা বলেছেন কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ রকম কিছু জানাননি।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সঙ্গে এ কার্য-অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সভাপতিত্ব করেন।

এছাড়া তৃতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি বলেছি জিপি (গভর্নমেন্ট প্রসিকিউটর), পিপির (পাবলিক প্রসিকিউটর) ব্যাপারে সরকারের একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা হচ্ছে যে, স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস হবে এবং স্বাধীন সার্ভিসটা শতভাগ একদিনে হয়ে যাবে তা না। আমরা পর্যায়ক্রমে স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিসটা করব।

দ্বিতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সরকারি ই-মেইল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম এড়ানোর নির্দেশনা ও সচেতন করা হয়েছে।

প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ‘যারা ঘুষ নেয় তারা তো অন্যায় করেই৷ যারা ঘুষ দেয় তারাও। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে, এটা কবিই বলেছেন৷ এটা আমাদের ধর্মেও আছে -অন্যায়কারীকে সহযোগীতা করো না।’

এমএআর/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।