সকা‌লের দ‌ু‌র্ভোগ শেষ হয়‌নি রা‌তেও

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৭

আজ কাকডাকা ভোর থে‌কে শুরু হওয়া বৃষ্টিজ‌নিত জনদু‌র্ভোগ রা‌তেও শেষ হয়‌নি। নগরীর বি‌ভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘা‌টে বৃ‌ষ্টির পা‌নি এখনও জ‌মে আছে। সরেজ‌মিনে রাজধানীর লালবাগ, আজিমপুর, নিউমা‌র্কেট, পলা‌শীসহ একা‌ধিক এলাকা প‌রিদর্শনকা‌লে দেখা যায়, এখনও রাস্তাঘাট থেকে বৃষ্টির পা‌নি এখনও সরেনি। এর ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় কর্মজী‌বী ঘরমু‌খো শত শত মানু‌ষকে চরম ভোগা‌ন্তি পোহা‌তে হচ্ছে।

নীল‌ক্ষেত মোড় থে‌কে নিউ মা‌র্কেট হ‌য়ে আজিমপুর কবরস্থান পর্যন্ত রাস্তায় বৃ‌ষ্টির পা‌নি রাত ১০টায়ও না‌মে‌নি।‌ নিউ মার্কেট এক নম্বর গেটের অদূরে সিটি কর্পোরেশনের বড় ডাস্টবিনের ময়লা-আবর্জনা রাস্তার পানিতে ছড়িয়ে চারপাশে দুর্গন্ধময় হয়ে আছে।

rain

জলাবদ্ধতার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হলেও মৌসুমী ভ্যানচালকদের পোয়াবারো। তারা আজিমপুর কবরস্থানের সামনে থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত পানি পারাপার বাবদ জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে নিচ্ছিলেন। একেকটি ভ্যানে ৭/৮ জন করে যাত্রী পারাপার হতে দেখা যায়।

জানা গেল, সকাল থেকেই পারাপার চলছে। এ প্র‌তি‌বেদ‌কের স‌ঙ্গে আলাপকা‌লে এক ভ্যানচালক জানান, এর আগে কখনও বৃ‌ষ্টির পা‌নি এত বেশি সময় জমে থা‌কে‌নি। পাশ থে‌কে আরেকজন বললেন, দুপু‌রে আইলে দেখ‌তে পাই‌তেন কোমড়সমান পা‌নি।

rain

বৃষ্টির কারণে নিউ মার্কেটের সামনের রাস্তায়ই নয়, ভেতরেও পানি ঢুকে পড়ে। আব্দুস সালাম নামের এক শাড়ির দোকান মালিক জানান, মঙ্গলবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আজ এক পার্টির ৫০ হাজার টাকা পেমেন্ট দেয়ার কথা ছিল। সারাদিন বিক্রি করে সহজেই টাকা দেয়া যাবে ভাবলেও বৃষ্টির কারণে দোকানই খুলতে পারেননি বলে জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের এক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, টিউশনি করতে তিনি দুইবার ২০ টাকা করে মোট ৪০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে এ জায়গাটুকু পার হয়েছেন।

নিউ মার্কেটের অদূরে নতুন পল্টন লাইন, আজিমপুরের বাসিন্দা আফজাল হোসেন জানান, তাদের বাড়ির সামনে রাস্তায় এখনও বৃষ্টির পানি জমে আছে। অপসারণ হতে না পেরে বৃষ্টির পানি ড্রেনের পানির সঙ্গে মিশে গেছে। ওই পানিতে পা দিতেই শরীর ঘিনঘিন করে উঠছে বলে জানান।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।