এত বৃষ্টি হলে খামু কি

জাহাঙ্গীর আলম
জাহাঙ্গীর আলম জাহাঙ্গীর আলম , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৭

মুনির হোসেন (৪৫)। রাজধানীর মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের ৩নং গেটে আনারস ও পেঁপে বিক্রি করেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি হয়। লাভের টাকা দিয়ে চলে তার সংসার।

কিন্তু গত দুদিন বৃষ্টির কারণে তেমন বেচা বিক্রি হয়নি। সারাদিন বিক্রি করছেন মাত্র দুই থেকে তিনশ টাকা।

বুধবার সকালে তার সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘দুদিন টানা বৃষ্টি হইতাছে। বেচাকেনা নেই বললেই চলে। এত বৃষ্টি হলে খামু কি। আর কীভাবে চালামু সংসার।’

Jahangir

সুমন মিয়া (৪০)। রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় কম দামে ভাতের দোকান চালন। বৃষ্টির কারণে তার দোকানে কোনো কাস্টমারই নেই। দোকানের কর্মচারীদের নিয়ে কাস্টমারের অপেক্ষায় বসে আছেন। দুদিনের বৃষ্টির কারণে বেচা বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে। তাই কর্মচারীর বেতন দিতেই হিমসিম খাচ্ছেন।

Jahangir

তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে দুদিন কাস্টমারই আসেনি। দোকানটা খুললে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। বৃষ্টির কারণে তিন হাজার টাকা বিক্রি হয় না। এখন নিজে খামু কি আর কর্মচারীকে কি দিমু, যা রান্না করেছি তা যদি বিক্রি করতে না পারি তাহলে পুঁজিই শেষ হয়ে যাবে।

Jahangir

রাজধানীর গুলিস্তান, বংশাল ও ইংলিশ রোড এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দুদিনের বৃষ্টিতে কিছু এলাকায় হাঁটু পানি জমে আছে। কোনো কোনো দোকানের ভিতর পানি ঢুকেছে। দোকান খুললেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। দোকানের মালিকরা ক্রেতার জন্য অপেক্ষার সময় পার করছেন। বেচা বিক্রিয় না হওয়ায় হতাশায় দিন পার করছেন তারা। তাদের একটাই কথা এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে দোকানের পুঁজি কীভাবে উঠবে।

জেএ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।