সংবিধান সংশোধনে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই ড. কামালের


প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪

সংবিধান সংশোধন নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার ড. কামাল হোসেনের নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় খাজা নিজাম উদ্দিন মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমির এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে ৭২ সালে সংবিধান রচনা করেছিলেন। এই সংবিধান দিয়ে দীর্ঘ চার দশক দেশ চলেছে। আমিও প্রশ্ন তুলতে চাই ড. কামাল হোসেন যদি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে সংবিধান রচনা করতে পারে। তবে এই সংসদ কেন এটা সংশোধন করতে পারবে না? কাজেই এই সংবিধান সংশোধন নিয়ে ড. কামাল হোসেনের প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার নেই।

হাছান মাহমুদ বলেন, ড. কামাল যে ক্যাটাগরিতে সংবিধান রচনা করেছিলেন। আমরাও সেই ক্যাটাগরিতেই সংবিধান রচনা করছি। আমরা সব সময় বলেছি ৭২’র সংবিধানে ফিরে যাব। তার কয়েকটি ধাপ আমরা পার করেছি। বাকিগুলো ধীরে ধীরে আমরা পূরণ করবো। এটা করলে বিচারপতিদের স্বার্থ ও সংবিধানের মূল চেতনা রক্ষা করা হবে।
 
আওয়ামী লীগের এ প্রচার সম্পাদক বলেন, আগে বিচারপতিদের অভিশংসনের বিষয়টা তিনজন বিচারপতির হাতে ছিল। এখন এই সংশোধনী হলে কোনো বিচারপতিকে সরানোর ক্ষমতা তিন জনের হাতে আর থাকবে না। বিচারপতিদের অভিসংশন করতে গেলে দুই-তৃতীয়া অংশ সংসদ সদস্যদের একমত হতে হবে এবং জাতিও জানতে কি কারণে বিচারপতিকে অপসারণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রথমে বিচারবিভাগ তদন্ত করে সংসদের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবে।পরে সংসদ সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর মাধ্যমে স্বাধীন বিচার বিভাগ ও বিচারপতিদের মর্যাদা আরো সুরক্ষিত করা হয়েছে।
 
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজির সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।