রাস্তায় পশু কোরবানি নয় : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৭

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় রাস্তায় পশু কোরবানি করা যাবে না। তবে বাড়ির আঙিনায় ব্যবস্থা থাকলে সেখানে করা যাবে। বুধবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।

ঈদুল আজহার কোরবানির পশু জবাই করা, দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবার সরকার সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা ছাড়াও জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়েও নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছে।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মো. সাঈদ খোকন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) মেয়র মনিরুল হক, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) মেয়র সরফুদ্দীন আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক, অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম (মহাপরিচালক), ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দফতর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবে পশু কোরবানিকরণে পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। রাস্তাঘাট বা উন্মুক্ত খোলা স্থানে যেখানে পরিবেশ দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেখানে পশু জবাই থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু জবেহকরণ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে জোরালোভাবে কাজ করতে হবে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গেসঙ্গে পরিবেশগত দিকেও সসকলকে খেয়াল রাখতে হবে। নির্ধারিত স্থানে পশু জবেহকরণে জনগণকে উৎসাহিত করতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন।

মন্ত্রী বলেন, গত বছর সীমিত পর্যায়ে নির্ধারিত স্থানে পশু জবেহকরণ চালু হয়েছিল। এবছর বৃহৎ পরিসরে সারাদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে যে অর্থ ব্যয় হবে তার খাত চিহ্নিত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সার্কুলার জারির নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি কোরবানি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের চামড়াশিল্পের সিংহভাগ কাঁচামাল কোরবানির চামড়া হতে যোগান হয়। প্রশিক্ষিত কসাইয়ের মাধ্যমে পশু প্রক্রিয়াজাত করলে এ খাত লাভবান হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বড়বড় শহর ও পৌর এলাকাসমূহে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কষ্টসাধ্য। গ্রামীণ বা মফস্বলে এ সমস্যা ততটা প্রকট নয়। তিনি গতবছর কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের কথা ছিল। সিটি কর্পোরেশনসমূহ ২৪ ঘণ্টায় তা সম্পন্ন করেছে।

তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবেহকরণ ও দ্রুত বর্জ্য নিষ্কাশনে আমাদের প্রস্তুতি সন্তোষজনক। গ্রামীণ জনপদে ৮০-৯০ শতাংশ কোরবানি বাড়ির আঙিনায় হয়। সেখানে ততটা সমস্যা হয় না। সমস্যা যা হয় তা বড়বড় শহরে। ঢাকা শহরেই মোট ৫ লাখেরও অধিক পশু কোরবানি হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থাসমূহকেও কাজ করার আহ্বান জানান।

এমইউএইচ/জেডএ/এমএস

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।