চলে গেলেন এ আর খান


প্রকাশিত: ০৬:২৩ এএম, ২৫ মে ২০১৫

বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও দেশে বিজ্ঞানচর্চার প্রসারের অন্যতম পথিকৃৎ ড. এ আর খান আর নেই। সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটার দিকে লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন) করেন।

মৃত্যুকালে এ আর খানের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। এ আর খানের জন্ম ১৯৩২ সালে, ঢাকার বিক্রমপুরে। ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে তিনি স্নাতকোত্তর করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬০ সালে কলম্বো পরিকল্পনার ফেলো হিসেবে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেভেন্ডিস ল্যাবরেটরিতে গবেষক হিসেবে কাজ করেন।

পরে ১৯৬২ সালে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজে যোগ দেন এবং সেখান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি করে দেশে ফেরেন। এরপর প্রথমে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ও পরে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে (অধুনা তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ) অধ্যাপনা করেন।

দেশে বিজ্ঞান চর্চা ও বিশেষ করে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার প্রসারে ড. খান আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। ১৯৭৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বাসভবনের গ্যারেজে প্রতিষ্ঠা করেন অনুসন্ধিৎসুচক্র বিজ্ঞান সংগঠন। তিনি গড়ে তোলেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি। ১৯৯৫ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের হিরণ পয়েন্ট ও পঞ্চগড় থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ দলের নেতৃত্ব দেন। গ্রামীণ বিজ্ঞান শিক্ষকদের মানোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজন সত্যেন বসু বিজ্ঞান শিক্ষক ক্যাম্পের সূচনা করেন। ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন দৈনিকের জন্য রাতের আকাশ চিত্র তৈরি করে দিতেন তিনি।

এআরএস/আরআই/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।