মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৭ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৭

রাজধানীতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরমান হোসেন ওরফে সুমন (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৮টায় রাজধানীর মগবাজার দিলু রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। আসামি আরমান হোসেন বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের পর ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ করেছে মেয়ে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, সৎবাবার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মেয়েটি রমনা মডেল থানায় নারী নির্যাতন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন। বাদীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। 

রমনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, মামলাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দায়ের করেন ভুক্তভোগী। মামলা নং ১৩।  

মামলার এজাহারে ওই মেয়ে অভিযোগ করেন, প্রথম বাবার সঙ্গে মায়ের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ২০০৫ সালে আরমান হোসেনকে বিয়ে করেন তার মা। বিয়ের বছরখানেক পর মায়ের সঙ্গে থাকা শুরু করেন মেয়েটি। চাকরির কারণে মেয়েটির মা মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন।

২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে মেয়েটিকে বাবা আরমান প্রথম ধর্ষণ করে। তখন মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ওই সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন আরমান। ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরমান এরপর থেকে প্রায়ই ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতা।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয় মেয়েটি। পরে সৎবাবার চাপেই গর্ভপাত ঘটান। এরপরও থেমে ছিল না তার ওপর নির্যাতন। বাধ্য হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিকটাত্মীয়ের বাসায় চলে যান। সেখানেও পাঠানো হয় কুপ্রস্তাব। মেয়েটির এক বন্ধুকে আপত্তিকর ভিডিও ও অডিও ক্লিপ পাঠান আরমান। এছাড়া আরমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে দুটি নকল আইডি খুলে মেয়েটি তার ছবিযুক্ত করার অভিযোগ আনেন।

জেইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।