শ্রমিকদের কান্না থামান : মোশরেফা মিশু
ঈদের আগে তোবা গ্রুপের কারখানা খুলে দেয়াসহ দুই ঈদের বোনাস, দুই মাসের বেতন ও ছুটির টাকা দেয়ার আহবান জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক মোশরেফা মিশু। ঈদের আগে যেন আর কোনো অনশন করতে না হয় সেই বিষয়েও সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তোবা শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ ও তোবা গ্রুপের সকল কারখানা সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণের দাবিতে শ্রম মন্ত্রলণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
মিশু বলেন, গত ঈদে শ্রমিকদের না খাইয়ে অনশন করতে বাধ্য করেছেন। ঈদের এক মাসও বাকি নেই। অবিলম্বে কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের কাজ দিন। তাদের কাজের হাতকে বেকার রাখবেন না। আমাদের আর ভোগান্তির মধ্যে ফেলবেন না। কান কেটেছেন, আর নাক কাটবেন না। শ্রমিকদের কান্না থামান। এই ঈদে আর যেন কোনো অনশন না করতে হয়। শ্রমিক সংগ্রাম কমিটিকে আর কোনো কঠোর কর্মসূচি না দিতে হয়।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী এখনও কারখানা খোলা রয়েছে। এই জন্য তাদের দুই ঈদের বোনাস, দুই মাসের বেতন ও ছুটির টাকা দিতে হবে। কারণ তারা এখন সবাই কর্মরত রয়েছেন।
মিশু বলেন, শ্রমিকরা দেশের সম্পদ লুট করে খায় না। তারা নিজের পরিশ্রমের খাবার কায়। অবিলম্বে তাদের নিয়ে এই টালবাহানা বন্ধ করুন। তা না হলে এর উচিত জবাব দেওয়া হবে।
নৌ-মন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে মিশু বলেন, একজন মন্ত্রী কিভাবে পোশাক শ্রমিকদের প্রধান হতে পারে তা আমরা জানতে চাই। শ্রমিকদের দেখভাল করার জন্য শ্রম মন্ত্রীকে শপথের মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তা না করে শ্রম মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অন্য আরেকজন মন্ত্রী শ্রমিকদের সমন্বয় কমিটি করে নিজেকে প্রধান বলে দাবি করে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১১টায় শ্রমিকরা প্রেসক্লাবে সামনে জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় তাদেরকে মাইক ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। পরে সংগঠনের আহ্বায়ক মোশরেফা মিশু শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করা হবে এমন নিশ্চয়তা দিলে পুলিশ মাইক ব্যবহার করতে দেয়।
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াছিন আলী, শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার, মোহাম্মদ আলী, তাসলিমা আক্তার লিমা প্রমুখ।