দেশের ২৬.২ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে


প্রকাশিত: ০৯:৩১ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশে এখনও ২৬ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে ‘মিলেনিয়ান ডেভেলপমেন্ট গোল: বাংলাদেশের অগ্রগতি রিপোর্ট ২০১৩’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশে দারিদ্রের হার কমিয়ে নিয়ে আনার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল ২০১৫’ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে অনেক আগেই। তবে এখনও দেশের ২৬ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির কারণে ১৯৯১-৯২ সালের দারিদ্রের হার ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০১০ সালে ৩১ দশমিক ৫ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বিগত দশকের তুলনায় বর্তমান দশকে দারিদ্র্যের হার অধিক পরিমাণে কমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ খানা আয় ব্যয় জরিপে ২০১০ অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০০০-২০১০ মেয়াদে গড়ে প্রতিবছর দারিদ্যের হার কমেছে ১ দশমিক ৭৪। বর্তমানে দেশে দারিদ্যের হার ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার ২৯ শতাংশ নামিয়ে আনার কথা ছিল। বাংলাদেশ এটি অনেক আগেই অর্জন করেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে ক্ষুধার্থ জনসংখ্যার হার ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এটি ১৯৯০ সালে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ ছিলো। আর গ্লোবাল হাংগার ইনডেক্স রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্তকরণের তালিকায় ৬৮তম স্থান থেকে ৫৮ তম স্থানে এসেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হলেও ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়েছে। এই বয়সের বেকার যুবকের হার মোট শ্রমশক্তির ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন পাঠ করেন পরিকল্পনা কমিশনের অর্থনৈতিক বিভাগের সদস্য মো. শামছুল আলম। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী আফম মোস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এম মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল হকসহ অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।