দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে : সিইসি
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মাগুরা-১ উপ-নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বহুল সমালোচিত তিন সিটি (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) নির্বাচনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি। সাংবাদিককের প্রশ্নের জবাবে তিন সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গে সিইসি প্রধান বলেন, দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোও প্রতিবেদন দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত অনেক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ভোট পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মধ্যে দুটি সংস্থা রিপোর্টও দিয়েছে। তারা একই কথা বলেছে- দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ঠিক মতো হয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল তিন সিটি নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা বলেননি।
সর্বশেষ মাগুরা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিইসি বলেন, গণমাধ্যমে টিআইবি প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখেছি। তারাও আমাদের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। এখনো সেটা দেখতে পারিনি। তা দেখে বিবেচনা করতে হবে।
এ সময় বর্তমান ইসির নেতৃত্ব নিয়ে টিআইবি’র সমালোচনার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
সিটি নির্বাচনে সেনা মেতায়েন নিয়ে ইসির কোনো দোদুল্যমানতা ছিল না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা করণিক ভুল ছিল; তা শুদ্ধ করেছি আমরা। নির্বাচনে টহলের জন্য সেনাবাহিনীকে ডাকার প্রয়োজন পড়েনি।
তিন সিটি নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী ব্যয়সীমার ৭ থেকে ২১ গুণ বেশি খরচ করেছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করেছে টিআইবি। তবে এ ব্যয়ের সঠিকতা যাছাই কঠিন বলেও মন্তব্য করেন কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কে কতগুণ বেশি ব্যয় করলো তা আন্দাজ করে বলতে পারেন না। এখন প্রার্থীরা ভোটের ব্যয় বিবরণী জমা দিচ্ছে তাদের প্রতিবেদন পেলেই বুঝতে পারব আমরা। এটা কঠিন ব্যাপার। সব রিপোর্ট সঠিকভাবে হয় না। আগামী ২৯ মে’র মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি সব প্রার্থীর ব্যয়ের বিবরণী জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
প্রার্থীদের ব্যয় যাছাইয়ের বিষয়ে কমিশন সতর্ক রয়েছে বলেও জানান কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
মাগুরা উপ-নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাগুরা উপ-নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ মে এ নির্বাচনী এলাকায় ভোট হবে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, মো. শাহ নেওয়াজ ও ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এসকেডি/আরএস/আরআইপি