২০৫০ সালে ২২ শতাংশে দাঁড়াবে দেশের প্রবীনের সংখ্যা


প্রকাশিত: ০৯:৫৭ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

২০৩০ সালে বাংলাদেশে প্রবীণের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ আর ২০৫০ সালে তা গিয়ে দাড়াবে ২২ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বহুব্রীহি। শনিবার সকাল ১০ টায় দিনাজপুরের এফপিএবি কনফারেন্স হলরুমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর আর্থিক ও হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র সহযোগীতায় ‘প্রবীন অধিকার ও সামাজিক সুরক্ষায় সাংবাদিকদের পরামর্শ’ শীর্ষক এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়।


প্রবীণ ইস্যু নিয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনায় বক্তারা বলেন, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে  প্রবীণ জনগোষ্ঠি প্রত্যেকেটি ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত বৈষম্য ও অবহেলার স্বীকার হচ্ছে। এমনকি অনেক পরিবারে আছে যেখানে বাবা-মাকে তার প্রাপ্য সম্মানের জায়গা থেকে দুরে সরে দেয়া হচ্ছে, যদিও উক্ত পরিবার ঐ প্রবীণ ব্যক্তিরই গড়ে তোলা। প্রবীণ ব্যক্তির প্রতি অবহেলা ও বৈষম্য কমিয়ে এনে প্রবীণদের উপর সকল প্রকার সহিংসতা রোধে গণমাধ্যমের ভুমিকা অনস্বীকার্য এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ মাধমে তাদের কথা তুলে ধরার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ‘প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ ও ২০৫০ সালে বাংলাদেশে প্রবীণের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট জনসংখ্যার ১২ ও ২২ শতাংশ। ২০৪৪ সালে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমবয়সী জনগোষ্ঠীকে ছাড়িয়ে যাবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ১৯৯০ সালে মোট জনসংখ্যার ৪.৯৮ শতাংশ ছিল প্রবীন জনগোষ্ঠী। ২০০১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬.১ শতাংশে গিয়ে দাড়ায়।

পরামর্শ সভার উদ্বোধন করেন দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল। এ সময় বহুব্রীহির নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র প্রকল্প কর্মকর্তা (দক্ষতা ও উন্নয়ন) পবিত্রা মান্দা ও প্রকল্প কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, জেলা সমন্বক মলয় কুমার সরকার, মিডিয়া এন্ড ক্যাম্পেইন অফিসার মো : আখিদুজ্জামান আখিব, সোস্যাল মবিলাইজেশন ফিন্যন্স এন্ড এডমিন অফিসার শ্যামল মহন্তসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।