আর্থিক খাতে লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, শেয়ার ও মানি মার্কেট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মানদণ্ড। শক্তিশালী শেয়ারমার্কেট ছাড়া সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়া সম্ভব নয়। তাই টেকসই অর্থনীতির জন্য ব্যাংকিং খাত ও শেয়ারমার্কেটে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং এ খাতে লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। এই খাতে লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ ও কারিকুলাম পরিবর্তন করে পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ’র পরিবর্তে আগের পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করেন।
রাষ্ট্র ক্ষমতা নেয়ার ক্ষেত্রে নিজের কোনো দোষ ছিল না বলে দাবি করেছেন এইচএম এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো দোষ ছিল না। দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে আমাকে ক্ষমতা নিতে হয়েছিল। আমি নির্বাচন দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ ওই নির্বাচনে অংশ নেননি।
ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেয়া নিজের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি সেদিন বলেছিলাম, আমি নির্বাচন দিয়ে শৃঙ্খলা ফিরে আসার পর আবার ব্যারোকে ফিরে যাব। আমি আমার কথা রেখেছিলাম। ১৯৮৪ সালে নির্বাচন দিয়েছিলাম। ওই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করলে আমি ব্যারাকে ফিরে যেতে পারতাম। দুঃখের বিষয়ে তখন বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগ কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এখানে আছেন মেনন সাহেব, ইনু সাহেবও অংশগ্রহণ করেননি। ফলে আমাকে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি সৃষ্টি করতে হয়েছিল। আমাকে মাঝে মাঝে বলা হয় স্বৈরাচার। আমার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছিল। দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে আমাকে ক্ষমতা নিতে হয়েছিল। কিন্তু এজন্য আমাকে ৬টি বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। চাঁদ-তারা দেখতে পারিনি। একটা মিষ্টি খেতে চেয়েও পাইনি।’
এই বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তিনি বলেন, এবার ৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কারণ বাজেট বাস্তবায়ন নির্ভর করে যোগ্যতা ও সক্ষমতার ওপর।
এরশাদ মেডিটেশনকে শুল্কমুক্ত রাখা, সব কৃষি উপকরণের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে কর কমিয়ে সিগারেটের ওপর শতভাগ করারোপ ও চালের দাম কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
এইচএস/জেএইচ/পিআর