১৫ দিনের মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে আসছে চাল


প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ২২ জুন ২০১৭

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে চালের প্রথম চালান বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূত ট্রান ভ্যান খাও।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ তথ্য জানান।

ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে চাল আমদানির সমঝোতা স্মারক নিয়ে রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ভিয়েতনাম থেকে চালের প্রথম চালান ১৫ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা বলেছেন।

চাল আমদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত খাদ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক ক্ষেত্রে ‘চূড়ান্ত সাফল্য’ অর্জিত হয়েছে।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চেষ্টার প্রশংসা করে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে এবং একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

৭ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের কারণেও বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত।

ইহসানুল করিম বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সরকারি গুদামের মজুদ কমে আসায় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে ৯০৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত ১৪ জুন দরপত্র ছাড়াই সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। ভিয়েতনাম থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৪৭০ মার্কিন ডলার দরে ৫০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কিনতে খরচ হবে ১৯৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।

এছাড়া ৪৩০ মার্কিন ডলার দরে দুই লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানিতে ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ হবে।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ভিনাফুড টু এ চালের ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এবং বাকি ৪০ শতাংশ মংলা বন্দর দিয়ে সরবরাহ করবে।

এইচএস/এমএমএ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।