সুফিয়া কামাল ও জাহানারা ইমামকে স্মরণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের


প্রকাশিত: ০৪:৫৫ এএম, ২২ জুন ২০১৭

দুই মহীয়সীকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এর মধ্যে একজন কবিতায়, অন্যজন রাজপথে লড়াই করেছেন সমাজ পরিবর্তনের জন্য। তার হলেন কবি সুফিয়া কামাল ও শহীদজননী জাহানারা ইমাম।

গত ২০ জুন ছিল কবি সুফিয়া কামালের জন্মদিন এবং আগামী ২৬ জুন জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বুধবার আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। অনুষ্ঠানে এই দুই মহীয়সীর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী।

সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, `বেগম রোকেয়ার পর কবি সুফিয়া কামাল ও শহীদজননী জাহানারা ইমাম ছাড়া সমাজ পরিবর্তনে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে আর কাউকে দেখিনি আমরা। সমগ্র বাংলায় তাদের মতো সাহসী নারী আর কাউকে দেখিনি।

সুফিয়া কামাল প্রসঙ্গে পাকিস্তান আমলের একটি সভার উদাহরণ টেনে হাসান ইমাম বলেন, আইয়ুব খানের একটি সভায় অতিথি ছিলেন তিনি। আইয়ুব খান বাঙালিদের পশু বললেন। তখন সুফিয়া কামাল তাকে প্রত্যুত্তর দিলেন, বাঙালিরা পশু হলে আপনি তাদের রাজা, আপনি পশুশ্রেষ্ঠ। তখন শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলা দূরে থাক, ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হতো না। তার মতো করে কথা বলার সাহস কারও ছিল না।

জাহানারা ইমামকে স্মরণ করে হাসান ইমাম বলেন, তার কণ্ঠনালিতে ক্যান্সার হওয়ায় প্রথম দিকে তিনি কী বলতেন, বোঝা যেত না। তার উচ্চারণ জড়িয়ে যেত। সে অবস্থাতেই তিনি ঘণ্টাব্যাপী বক্তৃতা দিতেন। তাকে সারাদেশের মানুষ যেভাবে গ্রহণ করেছিলেন, তা এক ইতিহাস। গণআদালতের ব্যাপারে সারাদেশের মানুষকে তিনি উদ্বুব্ধ করেছেন।

এ সময় দর্শকসারিতে ছিলেন সুফিয়া কামালের মেয়ে অ্যাড. সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এম এম আকাশ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী প্রমুখ।

এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।