দুর্নীতি ও আস্থাহীন প্রশাসনের কারণে অর্থনৈতিক অগ্রগতি নেই
অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্নীতি ও আস্থাহীন প্রশাসনের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে অগ্রগতি নেই বলে মনে করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘গ্লোবাল কম্পিটেটিভ রিপোর্ট ২০১৪-১৫ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিপিডির পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়।
আলোচনা সভায় মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। ২০১৩ সালের ১১০ তম স্থান থেকে এ বছর ১০৯ এ উন্নীত হয়েছে। তবে দেশের সুযোগ ও সামর্থের তুলনায় তা অনেক কম। বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিযোগী ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশগুলো এ সূচকে অনেক ভালো করেছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, অর্থনৈতিক সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি শূন্য দশমিক শূন্য এক পয়েন্ট। দক্ষিন এশিয়ার দেশ ভুটান ৬ ধাপ এগিয়ে ১০৯ থেকে ১০৩ এসেছে। তবে অবনমন হয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার।
বাংলাদেশের অবস্থান গত কয়েক বছর একই স্থানে ঘুরছে উল্লেখ করে সিপিডি জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতির দিকে গেলেও বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারছে না। অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্নীতি প্রতিরোধ, আস্থাশীল প্রশাসন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, অর্থনৈতিক অবস্থান, শ্রম বাজার, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য, কর ব্যবস্থা,নতুন উদ্যোক্তা তৈরিসহ বেশ কিছু বিষয়ে একই অবস্থানে রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার কিছুটা বাড়লেও তা দেশের অর্থনৈতিক সূচক অগ্রগতিতে তেমন প্রভাব ফেলছে না।
অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, শ্রমমানের উন্নতি, বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি, নারীর জীবন মানের উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের কিছুটা দুর্বল দিক তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মনজুর-ই এলাহী, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।