ইফতারিতে বিদেশি ফলের চাহিদা বেড়েছে


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ১৯ জুন ২০১৭

প্রতি বছর রমজান এলেই বেড়ে যায় ফলমূলের চাহিদা। রমজান এলে রোজাদারদের কাছে ইফতারিতে দেশি-বিদেশি মৌসুমি ফলের কদর বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দেশি মৌসুমি ফলের পাশাপাশি মানুষের চাহিদা এখন বিদেশি ফলেও। অন্য সময়ের তুলনায় রমজানে এসব বিদেশি ফলের দোকানে ক্রেতাসাধারণের উপস্থিতি অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বায়তুল মোকাররমের উল্টো দিকের গলিতে অবস্থিত এসব বিদেশি ফলের দোকানিরা।

বায়তুল মোকাররমের সামনে ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন গলিতে প্রায় ৮-১০টি দোকানে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের বিদেশি ফল। ভিন্নধর্মী দেখতে চমৎকার রঙ বেরঙের এসব ফলের প্রতি মানুষের রয়েছে আলাদা আগ্রহ। সাজিয়ে রাখা এসব ফলে ক্রেতাসাধারণের নজর কাড়ছে। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে থাইল্যান্ড, ভারত, চীন, জর্দান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের ফলফলাদি। এখানে পাওয়া যাচ্ছে লাল ড্রাগন, সাদা ডাগন, হলুদ তরমুজ, জর্দানি খেজুর, থাই লিচু, সাম্মাম, থাই কাঁঠাল, ভারতীয় আম, নাসপাতি, দক্ষিণ আফ্রিকার লাল আপেল, দুরিয়ামসহ নানা ফল।

এখানে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ফল বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, বিদেশি এসব ফল আমরা পুরান ঢাকার বাদামতলী, ওয়াইজঘাট ও সদরঘাট আড়ৎ থেকে পাইকারি কিনে এখানে বিক্রি করি। বছরের সব সময়ই এসব বিদেশি ফল বিক্রি করি, তবে রমজানে এসব ফলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কারণ ইফতারিতে সবাই ফল খেতে পছন্দ করে।

চাহিদা বেশি থাকলেও ফলের দাম তেমন একটা বাড়েনি দাবি করে তিনি বলেন, এসব ফল দেখতে এবং খেতে খুবই সুস্বাদু, তাই ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে সবসময়ই। আর এটা রমজানে আরও বেড়েছে। অন্য সময়ের তুলনায় এসব ফলের বিক্রি বেড়েছে বেশ।

আমজাদ হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রায় সময়ই এখান থেকে বিদেশি ফল কিনি। তবে রমজান আসার পর বলতে গেলে প্রত্যেক দিনই এখান থেকে ফল কিনেছি। পরিবারের সদস্যরা ইফতারিতে ফল খেতে অভ্যস্ত, তাই অফিস শেষে এখান থেকে ফল কিনি।

আরেক ক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, দেশি ফল তো ইফতারিতে সবসময়ই খাই কিন্তু বিদেশি এসব ফল তো আর সবসময় খাওয়া হয় না। তাই শখ করে আজ কিনতে এসেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যেহেতু এসব ফলের দাম জানি না সেহেতু কিছু কিছু দোকানি মন হয় দাম বেশি রাখছে।

দরদাম : লাল ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, সাদা ড্রাগন ৪০০-৫০০, হলুদ তরমুজ কেজি প্রতি ১৫০-১৮০ , থাই লিচু ১৬০০-২০০০ টাকা কেজি, ফিলিস্তিনি খেজুর ১২০০-১৪০০ ও হলুদ সাম্মাম ৩০০-৪০০ টাকা। দুরিয়াম বা থাই কাঁঠাল বিক্রি করা হয় ৬৫০-৭০০ টাকায়। নাশপাতি প্রতি কেজি ১৬০-১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে সিজিনভেদে দরদাম ওঠানামা করে বলে জানান বিক্রিতারা।

অন্যদিকে রাজধানীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ফল আমের দোকানগুলোতেই ক্রেতার ভিড় বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, রোজা শুরুর পর থেকে আমের চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। আম ছাড়াও মৌসুমি ফলের মধ্যে আরও বিক্রি হচ্ছে আনারস, লিচু, কাঁঠাল, জাম, পেয়ারা, জামরুল, তরমুজ, বেল, আমলকি, করমচা, কলা, পাকা পেঁপে, লটকন, সফেদাসহ আরও বাহারি রকমের ফল।

এএস/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।