পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে


প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, ১৯ জুন ২০১৭

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ও জোরাল ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে নিয়মিত মামলা ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জামালপুর-২ আসনের এমপি ফরিদুল হক খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, জলাভূমি ভরাট করার জন্য চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। এসময় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সারাদেশে বনায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৪৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শিল্প বর্জ্য থেকে দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে তরল বর্জ্য নির্গমনকারী সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ‘জিরো টলারেন্স’ পলিসি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, শিল্প দূষণ থেকে সৃষ্ট পানি যাতে দূষিত না হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনপূর্বক ১০টি ইকোনমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৮৯১টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবেশ দূষণের জন্য ২৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য এবং তার মধ্যে ১৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৫৫৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপিত হয়েছে।

বনমন্ত্রী জানান, ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে এ ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এইচএস/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।