এবার হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা হবে না : হাব মহাসচিব
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেছেন, আসন্ন হজ মৌসুমে হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হবে না। প্রতিবছর হজের আগে বিভিন্ন হজ এজেন্সির নামে বরাদ্দ কোটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেরিতে আসা, হাজি প্রতিস্থাপন, স্থানান্তর, গাইড ও মোনাজ্জেম নিয়োগ নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হলেও এবার তা হবে না।
রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনের পিকিং গার্ডেন রেস্তোরাঁয় রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম (আরআরএফ) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত বছরগুলোতে হজের কিছুদিন আগে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি হজ এজেন্সির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুম হারাম হয়ে যেত। কিন্তু এ বছর ঈদুল ফিতরের ঈদের আগেই বিভিন্ন হজ এজেন্সির শতকরা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই হাজিরা নির্বিঘ্নে পবিত্র হজব্রত পালন করতে পারবেন।
তিনি জানান, সরকারিভাবে অব্যবহৃত কোটা বেসরকারি হজ এজেন্সির অনুকূলে বরাদ্দ দেয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে সৌদি সরকারের সম্মতি পাওয়া গেছে। খুব শিগগির বিভিন্ন এজেন্সির অনুকূলে তা বণ্টন করে জানিয়ে দেয়া হবে। ফলে গাইড ও মোনাজ্জেম নিয়োগ নিয়ে অতীতের মতো কোনো জটিলতার সৃষ্টি হবে না।
আরআরএফ সভাপতি ফয়েজউল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল।
ইফতার অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন আরআরএফের সদস্যদের প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএরএফ সদস্যরা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
সাংবাদিকদের প্রতি উদ্দেশ্য করে হাব নেতারা বলেন, হাব কোনো নেতিবাচক কাজ করলে তা লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরুন। পাশাপাশি কোনো ভালো কাজ করলে সে ব্যাপারে প্রতিবেদন তৈরি করুন।
ইফতারপূর্ব আলোচনায় অংশ নেন-হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন তসলিম, সাবেক মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদশে হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাসের, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজে অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন, ধর্ম সচিবের একান্ত সচিব গোলাম মাওলা, খেলাফত আন্দোলন একাংশের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব ড. মাওলানা এনামুল হক আজাদ, হাবের সাবেক সহসভাপতি আবদুল কবির খান (জামান), ফরিদ আহমেদ মজুমদার, হাবের সহ-সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা ফজলুর রহমান, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব শেখ গোলাম আসগর, বাংলাদেশে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতা উল্লাহ আমান, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা মনিরুজ্জামান রাব্বানী, ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, হজ নিউজ বিডি ডটকমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক অলিউর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের গবেষক সওম আবদুস সামাদ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন-ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ার, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব সম্পাদক মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, খেলাফত আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মাওলানা সুলতান মহি উদ্দিন, খেলাফত মজলিশের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল জলিল, কওমি পরিষদের সভাপতি আব্দুল আজিজ, আরআরএফ এর সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকী, দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহসভাপতি মুহাম্মদ নাঈমুল হায়দার আক্তারী, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি জি এম রুহুল আমিনসহ আরও অনেকে।
এমইউ/এমএমএ/জেআইএম