২০১৮ সালের হজ প্রাক নিবন্ধন প্রায় শেষ!
এক সময় হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে শুধু আর্থিক অসঙ্গতিকে প্রধান বাধা মনে করা হলেও বর্তমানে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েও আগাম হজ নিবন্ধন না করার কারণে অনেকেই ইচ্ছানুযায়ী সময়ে হজে যেতে পারবেন না।
এখনও পর্যন্ত চলতি বছরের হজ পালন না হলেও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এরইমধ্যে আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের হজ গমনেচ্ছুদের প্রাক নিবন্ধন শুরু করেছে সরকার।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে আগামী বছরের প্রাক নিবন্ধনকৃত হজ গমনেচ্ছুর সংখ্যা লাখের ঘর ছাড়িয়ে গেছে। আজ দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৪৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৬৪ জনসহ মোট এক লাখ ৪০৮ জন হজ গমনেচ্ছু আগামী বছরের জন্য হজ নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
আসন্ন হজে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি বিভিন্ন হজ এজেন্সির মাধ্যমে এক লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জনের পবিত্র হজ পালন করার কথা রয়েছে।
আগামী বছর চলতি বছরের সমপরিমাণ কোটা থাকলেও সে হিসেবে এরইমধ্যে আগামী বছরের প্রাক নিবন্ধনকারী শতকরা প্রায় ৮০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
জানা গেছে, সৌদি সরকার চলতি বছর থেকে শতভাগ হজ কার্যক্রম ই-হজ পদ্ধতিতে পরিচালনা করছে। হজ নীতিমালা অনুসারে বাংলাদেশও প্রাক নিবন্ধন থেকে শুরু করে নিবন্ধন ও পরবর্তী সব কার্যক্রম ই ইজ পদ্ধতিতেই পরিচালনা করছে। ফলে আগাম নিবন্ধন করা হচ্ছে।
ফলে যারা আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুক তাদের কোটা পূরণের আগেই নিবন্ধন করার পরামর্শ দিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
প্রাক নিবন্ধন চালু ও কোটা পূরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, হজ কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রাক নিবন্ধন চালু হয়েছে। অতীতে দেখা যেতো বিভিন্ন এজেন্সি গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হজে পাঠানোর আশ্বাস দিতো। কিন্তু শেষ মুহূর্তেু অতিরিক্ত কিছু টাকা পেয়ে অন্য কোনো ব্যক্তিকে পাঠানো হতো। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হতেন।
কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রাক নিবন্ধন চালু হওয়ায় একটি নির্দিষ্ট অংকের টোকেন মানি দিয়ে কোন এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাওয়ার প্রাক নিবন্ধন করা যায়। ফলে হজে পাঠানো নিয়ে নয়-ছয় করার সুযোগ থাকে না।
আগামী বছরের জন্য এ বছরই প্রাক নিবন্ধন করার বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়া বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ আগেই চালু করেছে। প্রাক নিবন্ধন পদ্ধতিতে ইন্দোনেশিয়াতে কেউ বর্তমানে হজে যেতে চাইলে তিন বছর আগে ও ইরানে প্রায় ১০ বছর আগে প্রাক নিবন্ধনের সিরিয়াল দিতে হয়।
তাই আগামী বছর যারা হজে যেতে চাইছেন এমন লোকজনকে তিনি দ্রুত প্রাক নিবন্ধনের পরামর্শ দেন।
এমইউ/এসআর/এমএস