সাগরে মানবিক সংকটে বাংলাদেশকে দায়ী করলো মিয়ানমার


প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ১৬ মে ২০১৫

সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের নিয়ে সৃষ্ট সংকটের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করেছে মিয়ানমার। শনিবার একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মানবিক সংকটের জন্য বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ভবনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জাও হতাই ।

জীবন বাজি রেখে সমুদ্রপথে অন্যত্র আশ্রয় খোঁজা হাজারো রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী বলেও দাবি মিয়ানমারের। তাই চলমান অভিবাসী সমস্যার জন্য মিয়ানমার দায়ী কিংবা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, এ ধরণের কথা বলা হলে থাইল্যান্ড অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অভিবাসী সম্মেলনে যোগ দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।

মেজর জাও হতাই শনিবার বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘অভিবাসী সংকট নিয়ে ২৯ মে থাইল্যান্ডে ওই সম্মেলনে মিয়ানমার যোগ দেবে কি না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার অভিবাসী সমস্যা মূলে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তার দেশ কখনো এটা মেনে নেবে না।’

জাও হতাই বলেন, ‘থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ওই আঞ্চলিক সম্মেলনে মিয়ানমার অংশ নেবে না, যদি দাওয়াতপত্রে ‘রোহিঙ্গা’ সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়।  এমনকি এই নামটি মিয়ানমারের জন্য কুসংস্কার।  তারা বাঙালি।  তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে মিয়ানমারে এসেছিল।  এরপরও বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বসবাস করে আসছে।’

গত কয়েক দিনে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় থেকে বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার লোককে উদ্ধার করা হয়।  মানব পাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়ে বেশ কয়েক শ লোক সাগরে মারা গেছেন। মালাক্কা এবং ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের উপকূলে কয়েক হাজার লোক ভাসছে বলেও জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।  তারা খাবার, পানির অভাবে ভুগছে বলে জানায় সংস্থাটি।  এরপর জাতিসংঘ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ এর জন্য মিয়ানমারকে দায়ী করে বিবৃতি দেয়।

মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যমতে, ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর এত অভিবাসী এ অঞ্চলে আর কখনো দেখা যায়নি।  এটাকে চরম বিপর্যয়কর অবস্থাও বলে সতর্ক করে সংস্থাটি।

এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।