সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-সুইডেন


প্রকাশিত: ০৩:৪৯ এএম, ১৬ জুন ২০১৭

বাংলাদেশ ও সুইডেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ব্যবসা ও নগর উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে এসব বিষয়ে মতৈক্য হয়েছেন।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের কার্যালয়ে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে ব্রিফ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-অলোচনা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ব্যবসা এবং নগর উন্নয়ন খাতকে চিহ্নিত করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দেশের উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এ সময় তিনি (শেখ হাসিনা) তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরেন।

২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডার বিষয়ে সুইডেনকে মূখ্য ভূমিকা পালনকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, সুইডেন ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে চায়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তারা একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

বৈঠকে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেন বলেন, পুরাতন ধ্যান-ধারণা বদলে শিল্পোৎপাদনের সম্পর্কে নতুনভাবে এগিয়ে নিতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি জরুরি।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, শ্রম সচিব মিকাইল সিপার, সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।