ঈদের ৮০ ভাগ টিকিট বিক্রি শেষ


প্রকাশিত: ১০:২৫ এএম, ১৫ জুন ২০১৭

গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে : কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট না পাওয়ায় ভিড় কমেছে রাজধানীর গাবতলী ও কল্যাণপুরের বাস কাউন্টারগুলোতে।

এসব বাস কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতারা বলছেন, এবারের ঈদের ৮০ শতাংশ টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছাড়া ২০ থেকে ২৪ জুন রাত পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে ২৬ জুনের সকাল ও দুপুরের কিছু টিকিট এখনও অবিক্রীত রয়েছে।

এদিকে বাস মালিকপক্ষ বলছে, রাস্তার অবস্থা ভালো থাকলে ও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ২৫ তারিখ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশকিছু নতুন বাস সার্ভিস দেবেন তারা। এতে করে যেসব যাত্রী টিকিট পাননি, শেষ সময়ে তারা স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ কাউন্টার ফাঁকা, টিকিটের জন্য তেমন কোনো ভিড় নেই। তবে কাউন্টারে ঘরমুখো অসংখ্য যাত্রীকে বসে থাকতে দেখা গেছে। এদের বেশিরভাগই বেকার কিংবা গৃহিণী হওয়ায় হয়রানির ভয়ে ঈদ উপলক্ষে আগেভাগেই বাড়ি ফিরছেন।

তবে বেশ কয়েকটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রুটের বাস কাউন্টারে কথা বলে জানা যায়, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বাসের অগ্রিম টিকিট এখনও মিলছে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মোট ৪০টির বেশি রুটে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহীর নর্দাপাড়া এলাকার যাত্রী মুক্তা খাতুন বলেন, স্বামী বেসরকারি চাকরি করেন। ফিরবেন ২৪ তারিখ রাতে। রাস্তায় যানজটের আশঙ্কায় আগেই সন্তানসহ আমি বাড়ি ফিরছি।

বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন সাইদুর রহমান। ২৫ তারিখের আগে ছুটি মিলছে না তার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হানিফ পরিবহনে ২৫ তারিখ রাতের দিনাজপুরের টিকিট মিললেও তা কাঙ্ক্ষিত নয়। পরিবারের অপর দুই সদস্য যাবেন। কিন্তু এক সারিতে টিকিট মেলেনি। দুটি টিকিট থাকলেও তা আবার একদম পিছনে। দীর্ঘ পথের যাত্রায় পেছনে বসা সমস্যা হওয়ায় টিকিট না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন তিনি।

ফেরার পথে তিনি বলেন, ৩০ রোজা শেষেই ঈদ হবে এমনটি ধরে অফিস ছুটি নির্ধারণ করেছে ২৬ তারিখ থেকে। তবে যদি ২৯ রোজায় চাঁদ দেখা যায় তবে ২৬ তারিখ ঈদ। সে হিসাব ধরেই অনেকটা অনিশ্চয়তা নিয়ে টিকিট কাটতে এসেছিলাম। কিন্তু কোনো হিসাবই মিলছে না। তাই ঈদে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি না।

এমন সিদ্ধান্ত অনেকেই নিয়েছেন। তাছাড়া যানজটের কারণে অতীতের ভোগান্তিকর অভিজ্ঞতার কারণেও ঢাকায় ঈদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গাবতলীতে আল হামরা পরিবহনের ম্যানেজার দেলওয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের শুধু গাইবান্ধা রুটে সার্ভিস। ২০ তারিখের আগের টিকিট আমরা দিতে পারছি। তবে ঈদের ছুটির কোনো টিকিট নেই।

হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন জানান, ভালো সিটের সব টিকিট শেষ। পেছনের কিছু সিট আছে। তাও বেশকিছু বুকিং দেয়া।

অন্যদিকে কল্যাণপুরে ডিপজল বাস কাউন্টারের টিকিট মাস্টার আব্দুর সবুরও একই তথ্য জানান। নাবিল, শ্যামলী পরিবহন, ন্যাশনাল ট্রাভেলস ঘুরেও অধিকাংশ টিকিট শেষ বলে জানা গেল।

নাবিল পরিবহনের ম্যানেজার আবু সাঈদ সুইট বলেন, আমাদের অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইনে, সহজ ডটকম থেকে। যে কারণে কাউন্টারে চাপ ছিল কম।

জেইউ/এসআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।