‘বাজেট বাস্তবায়নে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’


প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ১৫ জুন ২০১৭

আবগারি শুল্ক বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেট আকারে বড় হলেও বাস্তবায়নযোগ্য তবে এজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তারা বাজেট বাস্তবায়নে বিএনপি-জামায়াত জোট নিয়ে সতর্ক থাকার কথা জানান।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাজেট মানেই উন্নতি। বিশাল জনগোষ্ঠীকে যদি সম্পদে পরিণত করতে না পারি তাহলে বাজেট বাস্তবায়ন সত্যিই কঠিন হয়ে পড়বে। এরইমধ্যে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দারিদ্রতার হার কমেছে। এসবের মূল কারণ নারীদের আর্থিক উন্নয়ন। ২০২১ সালের আগেই আমরা মধ্যবিত্ত দেশে পরিণত হবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরও যাবে। অর্থমন্ত্রীকে নারীদের দিকে তাকিয়ে অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক বাতিলের দাবি জানান তিনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নারীরা যে টাকা আয় করে ব্যাংকে রাখে তার ওপর যদি আবগারি শুল্ক আদায় করা হয় তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা আর্থিক খাতে দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, দেশ থেকে এ পর্যন্ত সাত হাজার ৫৮৫ কোটি মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, পাচারকৃত অর্থ দেশের বাজেটের সমান। তিনি বলেন, এক বছরের বাজেটই যদি বিদেশে পাচার হয়ে যায়, তা কঠোর হস্তে বন্ধ এবং ফেরত আনতে না পারলে দেশকে উন্নয়নের সড়ক দিয়ে বেশি দূর এগিয়ে নেয়া যাবে না।

পঞ্চগড়ের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান বলেন, বিএনপি কখনও বলছে লুটপাটের বাজেট, আবার কখনও বলছেন ব্যর্থ বাজেট। আসুন আমরা সবাই মিলে তাদের সে উদ্দেশ্য প্রতিহত করি।

বাগেরহাটের সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশাহ বলেন, অনেকেই বলছেন এটা বিশাল বাজেট। আসলে ১৬ কোটি মানুষের জন্য এই বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য বলে মনে করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাজেট বাস্তবায়ন হবে।

মুন্সিগঞ্জ-৩ এর সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাস বলেন, বিশাল বাজেট বাস্তবায়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বিএনপি জোট দেশের উন্নয়ন বাধগ্রস্ত করছে। জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বজায় রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। বিএনপি গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন- বেগম রওশন আরা মান্নান, রাজশাহীর এমপি ফজলে হোসেন বাদশাহ, সুনামগঞ্জের জয়া সেনগুপ্ত, সিরাজগঞ্জ -৫ এর আবদুল মজিদ মণ্ডল, নীলফামারী-৩ আসনের গোলাম মোস্তফা, শাহানারা বেগম, গাইবান্ধার সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, মৌলভীবাজারের আবদুল মতিন।

এইচএস/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।