পাহাড়ধস : দুই সেনা কর্মকর্তার দাফন সম্পন্ন


প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ১৫ জুন ২০১৭

রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে নিহত সেনা কর্মকর্তা মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ও ক্যাপ্টেন মো. তানভীর সালাম শান্তর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে সামরিক মর্যাদায় তাদের মরদেহ সমাহিত করা হয়।

এ সময় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) মেজর জেনারেল মো. নাজিম উদ্দীনসহ মৃতের আত্মীয়-স্বজন ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ জুন রাঙামাটির মানিকছড়িতে অতিবৃষ্টিতে একটি পাহাড়ধসে মাটি ও গাছ পড়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাঙামাটি জোন সদরের নির্দেশে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।

উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালীন বেলা ১১টার দিকে সংলগ্ন পাহাড়ের একটি বড় অংশ উদ্ধারকারী দলের উপর ধসে পড়লে তারা মূল সড়ক থেকে ৩০ ফুট নিচে পড়ে যায়।

পরে একই ক্যাম্প থেকে অপর একটি উদ্ধারকারী দল পৌঁছে দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চার সেনা সদস্যকে নিহত এবং ১০ সেনা সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরদিন বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে নিহত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।

নিহতদের মধ্যে মেজর মাহফুজুল হকের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে। তিনি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন এবং ৪৪ বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি বিবাহিত এবং পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলের জনক।

ক্যাপ্টেন তানভীরের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায়। তিনি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন এবং ৬৪ বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে কমিশনপ্রাপ্ত হন। মাত্র ১০ মাস আগে বিয়ে করেন তানভীর।

জেপি/এসআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।