কমলাপুরে আজও লম্বা লাইন
পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্যে উন্মুখ হয়ে আছেন রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাই রাতভর না ঘুমিয়ে স্টেশনে অপেক্ষার পর অবশেষে ট্রেনের অগ্রিম স্বস্তির টিকিট পেয়ে আনন্দে আত্মহারা অনেকেই।
তবে এখনও দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষায় আছেন হাজারো টিকিট প্রত্যাশী মানুষ। তাদের শঙ্কা, কাঙ্ক্ষিত ‘সোনার হরিণ’ টিকিটটি পাবেন তো!
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ২৪ জুনের (শনিবার) অগ্রিম টিকিট। এদিন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩১ টি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট ২৪ হাজার ৬০০ টিকিট দেয়া হবে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য দিনের মতো আজও সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। একজন সর্বোচ্চ চারটি টিকিট নিতে পারছেন। সার্বিক ব্যবস্থাপানায় আমরা সন্তুষ্ট। টিকিট প্রত্যাশীরা যেন নির্বিঘ্নে টিকিট কিনতে পারেন সেজন্যে আমরা তার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
টিকিট কালোবাজারী শূন্যের কোটায় দাবি করে তিনি বলেন, এবার কালোবাজারি হচ্ছে না। এ বিষয়ে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
এদিকে স্টেশনে গত দুইদিনের মতো বৃহস্পতিবারও রয়েছে টিকিট প্রত্যাশীদের লম্বা লাইন। অনেকে রাতভর না ঘুমিয়ে টিকিটের জন্য স্টেশনে পত্রিকা বিছিয়ে বা ফ্লোরে বসে, ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন, তবু টিকিট নামক ‘সোনার হরিণ’ যাতে পান।
বেসরকারি চাকরিজীবী হায়দার হোসেন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে পেরেছেন তিনি। টিকিটটি হাতে পেয়ে যেনো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তিনি।
জাগো নিউজকে বললেন, অনেক অপেক্ষার পর প্রত্যাশিত টিকিট হাতে পেয়েছি, যদিও এসি টিকিট চেয়েছিলাম, কিন্তু তা পাইনি। তবে নাড়ির টানে প্রিয়জনের কাছে ঈদে বাড়ি যেতে পারলে অপেক্ষা আর না ঘুমানোর কষ্ট থাকবে না।
জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রেবেকা সুলতানা। তিনি বলেন, ৪ ঘণ্টা ধরে লাইনে আছি, শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত টিকিট পাবো কি না তা নিয়ে টেনশনে আছি। টিকিট হাতে পেলে তবেই স্বস্তি মিলবে।
শুক্রবার (১৬ জুন) দেয়া হবে ২৫ জুনের (রোববার) অগ্রিম টিকিট।
ঈদ উপলক্ষে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এএস/এসআই/এমএমজেড/এমএমএ/পিআর