বনানী থেকে একসঙ্গে ৩ তরুণ নিখোঁজ


প্রকাশিত: ০২:০৭ এএম, ১৫ জুন ২০১৭

গত বছরের ডিসেম্বরে ৫ তরুণ নিখোঁজের পর এবার আরও ৩ তরুণ নিখোঁজ হয়েছে বনানী থেকে। ১ জুন সকালে ও বিকেলে একসঙ্গে এই তিন তরুণ নিখোঁজ হয়েছেন। তারা বনানীর মোস্তফা ম্যানশন ভবনের পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।

নিখোঁজ তিনজন হচ্ছেন, কামাল হোসেন (২১), ইমাম হোসেন (২৭) ও হাসান মাহমুদ (২৬)। সম্প্রতি তাদের নিখোঁজের বিষয়ে বনানী থানায় তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পরিবার।

বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান জাগো নিউজকে নিখোঁজ এবং জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিখোঁজ দুইজনের জিডির তদন্ত কর্মকর্তা। তৃতীয়জনের জিডিটি তদন্ত করছেন এসআই বজলুর রহমান।

পৃথক জিডিগুলো থেকে জানা গেছে, নিখোঁজ কামাল নিউ ইস্কাটন এলাকার দিলু রোডের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা থেকে দাওরা হাদিস ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। ইমাম ও হাসান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করার পর কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করেন। তারা একসঙ্গে বনানীর সি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ৬৭/এ, মোস্তফা ম্যানসনের পঞ্চম তলার ইন্টারকম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও টেলেক্স লিমিটেড নামে একই মালিকের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।

জিডিগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে কামাল সকালে এবং ইমাম ও হাসানের সঙ্গে বিকেলে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

তদন্ত সূত্র জানায়, নিখোঁজ তিনজনই ধর্মীয় মানসিকতার ছিল। তারা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয়ে ঘর ছেড়েছে কিনা সেই সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর বনানীর মার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার পর একসঙ্গে সাফায়াত হোসেন, জাইন হোসেন খান (পাভেল), মেহেদি হাওলাদার ও মো. সুজন নামে চার যুবক নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৪ মাস পর মেহেদী এবং ৬ মাস পর সুজন ঘরে ফিরলেও সাফায়াত ও পাভেলকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ডিসেম্বরেই সাঈদ আনোয়ার নামে এক ‘এ লেভেল’ শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। তারও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এআর/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।