ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতি আর অনিয়মের আখড়া
অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিস। কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পিয়ন পর্যন্ত সবাই অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও দালালদের দৌরাত্ম্য ও গ্রাহক ভোগান্তি তো নিত্যদিনের ঘটনা। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া পাসপোর্ট পাওয়া খুবই দুঃসাধ্য। দালাল ছাড়া কোনো পাসপোর্টের আবেদনও গ্রহণ করা হয় না।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে টাকা ছাড়া পাসপোর্ট মেলে না। যারা টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন তাদের হয়রানির সীমা থাকেনা। এমন কি হজ্জ্ব যাত্রীদের কাছেও টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, পাসপোর্টের জন্য কেউ সরাসরি আবেদনপত্র জমা দিলে ওই আবেদনপত্রে যে কোনোভাবে ভুল ত্রুটি ধরে পুণরায় আবেদন করতে বলা হয়। তবে আবেদনকারী যদি নির্ধারিত কর্মচারীর কাছে ৯০০ টাকাসহ আবেদনপত্র জমা দেন তা হলে কোনো সমস্যা হয় না। ওই কর্মচারী এ অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তার নিকটজন বলে পরিচিত। এখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় অর্ধ-শতাধিক আবেদনপত্র জমা ও পাসপোর্ট সরবরাহ হয়ে থাকে। প্রতি পাসপোর্টে ৯০০ টাকা হিসাবে দৈনিক আদায় হয় মোটা অঙ্কের টাকা। এ অর্থ শীর্ষ কর্মকর্তা বেশির ভাগ নেন ও অন্য কর্মচারীরা পান সামান্য। এতে কর্মচারীরাও ক্ষুব্ধ।
অনিয়ম ও হয়রানি প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী পরিচালক বিল্লাহ বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক নয়। অফিসের বাইরের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। তবে অফিসে এমন ঘটনা নেই।`
রবিউল এহসান রিপন/এআরএ/আরআইপি