কলেজ শিক্ষকদের হাজিরা খাতা নেই: সংসদে শিক্ষামন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৭:০৮ এএম, ১২ জুন ২০১৭

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কলেজ শিক্ষকরা প্রথম শ্রেণির ও গেজেটেড কর্মকর্তা। দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে গেজেটেড কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন হাজিরা দেবার ব্যবস্থা নেই। তবে কলেজের শিক্ষকরা নিয়মিত কলেজে আসেন।

নাহিদ বলেন, শিক্ষকদের নিয়মিত হাজিরা নিশ্চিত করতে দেশের কিছু সরকারি ও বেসরকারি কলেজ নিজস্ব অর্থায়নে কার্ড পাঞ্চিং চালু করেছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এ কে এম মাঈদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।

ঢাকা-৩ আসনের এমপি হাবিববুর রহমান মোল্লার লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীর্ক্ষীরা শুধু নয়, তার সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকদের মোবাইলে ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি কেন্দ্র সচিবও পরীক্ষা কেন্দ্রে স্মার্ট ফোন নিয়ে যেতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেখানে এর ব্যত্যয় ঘটেছে সেখানেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৭ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহের সময় সঙ্গে মোবাইল ফোন রাখার দায়ে ৩ জন শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বেগম লুৎফা তাহেরের অপর প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, কারিগরী শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে নানাবিধ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে কারিগরী শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রী এনরোলমেন্টের হার ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ বছরে পলিটেকনিকে ছাত্রীদের ভর্তির হার ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিপ্লোমা পর্যায়ে ছাত্রীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬৪ জন, ২০১৯ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭২২ এবং ২০২০ সালে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ছাত্রী ভর্তির লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ছাত্রীদের কারিগরী শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এইচএস/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।