ট্রেনের টিকিট আছে, যাত্রী নেই
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের সুবিধার্থে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত টিকিট থাকলেও প্রথম দিনে টিকিট সংগ্রহে তেমন যাত্রী নেই স্টেশনে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ ১২ জুন বিক্রি করা হচ্ছে ২১ জুনের টিকিট। প্রতি যাত্রীকে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ চারটি করে টিকিট।
কিন্তু টিকিটের চাহিদা তেমন নেই। সোমবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেলো।
এদিকে, ২১ জুনের টিকিটের তেমন চাহিদা না থাকলেও পরের দুইদিন ২২ ও ২৩ জুন টিকিটের ব্যাপক চাহিদা থাকবে বলে জানিয়েছে স্টেশন সূত্র। এ দু’দিনে রাজধানী ছেড়ে যাবেন কর্মজীবী মানুষের সবচেয়ে বড় অংশ।
স্টেশনে আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে টিকিট প্রত্যাশীরা সোমবার ভোর থেকেই স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন।
সকালে টিকিট বিক্রি শুরুর পর বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে দ্রুত কমতে থাকে যাত্রীর সংখ্যা। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী আর দিনাজপুর ছাড়া সব জেলার টিকিট কাউন্টার ফাঁকা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে জানান, ভোর থেকে দীর্ঘ লাইনে টিকিটের জন্য মানুষ অপেক্ষমাণ থাকলেও টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা আস্তে আস্তে কমে যায়।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে। আজ ২১ জুনের জন্য ২২ হাজার ১২২টি টিকিট দেওয়া হবে। এখনো অনেক টিকিট অবিক্রিত রয়ে গেছে। সারাদিন টিকিট দেওয়া হবে। আশা করছি যাত্রীরা প্রত্যাশা অনুযায়ী টিকিট পাবেন।
শুরুর দিনই টিকিটের চাহিদা কম থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়া কারণে অনেকে টিকিটের জন্য আসতে পারেননি। এছাড়াও ২১ জুন বুধবার হওয়ায় এ দিনের টিকিটের চাহিদা একটু কম। তবে ২২ ও ২৩ জুনের (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) টিকিটের চাহিদা বেশি থাকবে।
এজন্য যাত্রীদের বাড়তি চাপ মোকাবেলায় পার্বতীপুর ও রাজশাহীগামী স্পেশাল ট্রেন ২২ জুন থেকে চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কমলাপুরে দিনাজপুরের টিকিট নিতে আসা শিক্ষার্থী কামাল বলেন, সেহেরি খেয়ে ভোর সাড়ে ৪টায় টিকিট নিতে এসেছি। সকাল ১০টায় টিকিট পেলাম। অনেক বড় লাইন ছিল, এখন কমে গেছে।
জয়পুরহাটের যাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, ভোরেই টিকিটের জন্য স্টেশনে আসার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আসতে পারেননি। তবে এখন এসে ভালোই হয়েছে, কাউন্টার ফাঁকা। তাকে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
গত ৮ জুন রাজধানীর রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে ১২ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। যাত্রীদের ভ্রমণ সুবিধার্থে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে।
প্রথম দিন অর্থাৎ ১২ জুন দেয়া হবে ২১ জুনের টিকিট। এরপর ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ জুন যাত্রীরা যথাক্রমে ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ জুনের টিকিট কাটতে পারবেন।
এসআই/এসআর/পিআর