খাল দখল করে চলছে পাকা ভবন নির্মাণ


প্রকাশিত: ০৯:০৭ এএম, ১৪ মে ২০১৫

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারি জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রকাশ্য দিবালোকে এসব প্রভাবশালীরা কাজ করলেও তাদের বলার মতো সাহস নেই সাধারণ জনগণের। তাই দখলদারদের কাজে অবৈধ কাজে বাধা দেয়ার ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্নভাবে হয়রানির আশঙ্কায় চোখের সামনে মুখ বুজে সহ্য করছেন সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের খাল দখল করে পাইলিং দিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করছে একটি মহল। দীর্ঘ দিনেও এসব খাল খনন না করা ফলে খাল শুকিয়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ চলাচলে বিঘ্নসহ বিভিন্ন খালের স্রোত কমে যাওয়ায় ইরিগেশনের  সমস্যা হচ্ছে প্রতিবছর। তার উপর দখলদারদের কারণেই খাল আরও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালের দুই পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করায় ব্রিজের পথ সরু হওয়ার কারণে বাজারে দুইবার অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাজারের মধ্যেও সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মেণের ফলে গলি ছোট হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি ঢুকিয়ে কাজ করতে না পারায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুলল্লাহ, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল আলম বন্দরের দোকান ও গলি নির্মাণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিলেও সেই নির্দেশকে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে চলছে নির্মাণ কাজ। অবৈধ ওই নির্মাণ কাজে সরকারদলীয় কয়েক নেতা বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে কাজ চলছে। উপজেলা সদর বন্দরের একমাত্র ঘাটলাটিও এখন দখলদারদের কারণে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে গেছে।

উপজেলা সদর ছাড়াও সাহেবেরহাট, গৈলার রথখোলা, ছয়গ্রাম বাজার, আস্কর কালীবাড়ি, দুশমীর হাট, রাজিহার বাজার, বারপাইকা করিম বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রভাবশালী দখলবাজরা একটি মহলকে ম্যানেজ করে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে রাতারাতি বিক্রি করে দিচ্ছেন। দখল করা জায়গা দখলবাজরা তাদের পৈত্রিক, ক্রয়কৃত, ডিক্রি করা ইত্যাদি বলে দাবি করে পাকা ভবন নির্মান করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী ভূমি (অ্যাসিল্যান্ড) এর অতিরিক্ত দ্বায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ সাংবাদিকদের বলেন, খালের দুই পাশ কারো ব্যক্তিগত জায়গা নয়। তবে তারা যদি সরকার থেকে লিজ এনে ব্যবসা করে তাতে সরকারের কোন বাধা নেই। তবে ওই স্থানে পাকা ভবন নির্মাণ করতে পারবেন না। কেউ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।