সচিবালয় কর্মকর্তাদের জন্য বিনামূল্যে থেরাপি


প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ০৭ জুন ২০১৭

সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা সপ্তাহে দুইদিন বিনামূল্যে থেরাপি সেবা নিতে পারবেন। এজন্য ‘মোবাইল (ভ্রাম্যমাণ) থেরাপি সেবা কার্যক্রম’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ের ক্লিনিকের সামনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান এ সেবা উদ্বোধন করেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে সপ্তাহে দু’দিন রোববার ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিনামূল্যে থেরাপি দেয়া হবে।

থেরাপি সেবার মধ্যে রয়েছে- স্ট্রোক-প্যারালাইসিস, ফ্রোজেন সোল্ডার, জিবিএস (গুলেইন বারি সিনড্রোম), স্পন্ডালাইটিস ও আর্থ্রাইটিস, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি, সেরিব্রাল পলসি ও প্রতিবন্ধিতা, স্পোর্টস ও আঘাতজনিত সমস্যা, কাউন্সেলিং এবং যেকোনো ধরনের প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সেবা দেয়া হবে।

মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘সচিবালয়ে কর্মরত নবীন থেকে শুরু করে পঞ্চাশোর্ধ্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এটি (থেরাপি সেবা) আশীর্বাদস্বরূপ। বর্তমান সরকার নানাবিধ সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। এই থেরাপি সেবা কার্যক্রম নিঃসন্দেহে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিক ও মানসিক শক্তিতে বলিয়ান করবে।’

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিল্লার রহমান বলেন, ‘সচিবালয়ে কর্মরত চাকরিজীবীদের সপ্তাহে ৫ দিন অফিস কক্ষে বসে কাজ করার কারণে অনেকেরই চাকরি শেষে হাঁটু ও কোমরের ব্যথাসহ নানাবিধ রোগব্যাধি দেখা দেয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই থেরাপি সেবা কার্যক্রম নিঃসন্দেহে সচিবালয়ে কর্মরত চাকরিজীবীদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে ৩২টি মোবাইল রিহ্যাবিলিটেশন থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে সেবা দেয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার ও সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবীর।

এমইউএইচ/জেএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।