শিশুদের দাঁতের যত্ন নিন


প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

সকালে উঠে কি দাঁত মাজতে ভুলে যায় আপনার বেবি? মাঝে মধ্যেই দাঁতে ব্যথায় কি কাঁদে সে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর একটাই। তা হল- হ্যাঁ।। তখন আর বিশেষ কিছু না ভেবেই ডাক্তারের কাছে ছোটেন। কিন্তু, ভেবে দেখেছেন কি কখনও, কেন হচ্ছে দাঁতে ব্যথা? এত অল্প বয়সেই কেন হচ্ছে  বিভিন্ন দাঁতের অসুবিধা? চলুন জেনে নিই, একদম শিশু অবস্থা থেকে কি করে আপনার ছোট্ট সোনার মাড়ির ও দাঁতের যত্ন নেবেন।

নবজাতকের দাঁত ও মাড়ির যত্ন:
শিশু জন্মানোর পর থেকেই শুরু হয়ে যাওয়া উচিৎ তার মাড়ির যত্ন। স্টেরিলাইজ করা গজ বা কাপড় হাতে জড়িয়ে খুব সাবধানে শিশুর মাড়ি পরিস্কার করা উচিতৎ। এই সময়ে বাচ্চার মুখে যদি কোন দুর্গন্ধ হয়, তবে, বুঝতে হবে যে মাড়িতে কোন সংক্রমণ ঘটেছে।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় খেয়াল রাখবেন স্তন এবং হাত পরিস্কার আছে কি না। জন্মানোর পর থেকে বুকের দুধ না ছাড়া পর্যন্ত, বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিৎ। যদিও, দুধে অ্যান্টিবডি থাকে।  শিশু কথা বলতে শুরু করলে ওরাল ক্রিম দিয়ে শিশুর মাড়ি মাসাজ করা উচিতৎ। ডাক্তারের প্রেশক্রিপশন অনুযায়ী মাসাজ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

বাচ্চার দুধের দাত উঠলে সব কিছুতেই কামড়ানোর চেষ্টা করে। তাই সংক্রমণের বেশি ভয় থাকে। এই সময় সফট বা ডিজিটাল ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করানো উচিতৎ। ছোট থেকেই শিশুকে নিয়ম করে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা সেখানো উচিতৎ।

প্রতিদিন মাউথ ওয়াস এবং ফ্লসিং করা ছোট বেলা থেকেই সেখানো উচিতৎ। যে সমস্ত শিশুরা একটু বড় বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খায় তাদের দাঁতে ক্যাভিটিজ হতে পারে। এই সমস্ত দাঁত তুলে না ফেলে সঠিক চিকিৎসা করে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, তুলে ফেললে পরের বার দাঁত উঠতে অসুবিধা হয়।

ক্যাভিটি হলে কোনো ব্যথা অনুভব হয় না। শুধু ক্যাভিটিতে খাবার জমে থাকে। এই পর্যায়ে চিকিৎসা না করালে ক্যাভিটি থেকেই দাঁতে ব্যথা হয়। মাড়িতে পুঁজ জমতে পারে এবং ফুলে যেতে পারে। তখন শিশুর চিকিৎসা করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে।

তবে, এ সমস্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলেও বাবা-মায়ের সচেতনতা কিছুটা রোধ করতে পারেন। যেমন, শিশু যখন খাবে তখন কুলি করার অভ্যাস করাতে হবে। এতে তার দাঁতে কোন খাবার জমবে না, দাঁত ও মাড়ি ভালে থাকবে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পর তার দাঁত পরিষ্কার রুমাল দিয়ে মুছে দিতে হবে। শিশুকে দাঁত ব্রাশ সঠিক নিয়মে করাতে হবে।

যদি সম্ভব হয় তাহলে ফ্লসিং (সুতা দিয়ে দুই দাঁতের মাঝখানে পরিষ্কার রাখা) করা হলে দুই দাঁতের মাঝখানে ক্যাভিটি হবার সম্ভাবনা কম থাকে।

বাবা মায়ের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে দাঁতে কোনো ক্যাভিটি আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।

চকলেট অথবা কার্বহাইড্রেট খাবার খেয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা উচিৎ। তা না হলে, ক্যাভিটি হতে পারে। তবে আশার কথা হলো দাঁত ও মাড়ির অসুখ নিরাময়যোগ্য। শিশুর দাঁতের যত্নে অভিভাবকদের ভূমিকাই  প্রথম।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।