প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি পাই-পয়সা চিন্তা করে খরচ করেন : মতিয়া


প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ০৫ জুন ২০১৭

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আমরা যথেচ্ছভাবে খরচ করিনি। যেখানে যেটা প্রয়োজন সেখানে সেটা খরচ করা হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মতো বলেননি, মানি ইজ নো প্রোবলেম। তিনি প্রতিটি পাই-পয়সা চিন্তা করে খরচ করেন।

সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত অর্থের চেয়ে বেশি খরচ করেছে ২৭টি মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনের নিরিখেই খরচ করেছে বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা ইচ্ছা করলে সবগুলো মন্ত্রণালয় সব টাকা খরচ করতে পারতাম। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা ভাবনা সেটা না। আর আমাদের অর্থমন্ত্রী তো অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কিভাবে হ্রাস টানতে হয় সেটা ভালভাবেই জানেন। তবে যেটা প্রয়োজন ছিল সেটা খরচ করার ক্ষেত্রে তিনি কার্পণ্য করেননি।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বরাদ্দের চেয়ে বেশি খরচ করেছে। এসব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে খরচের উচ্চ বৃদ্ধি হারে রয়েছে- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, সুরক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ। এর কোনটিকে আমার অপ্রয়োজনীয় মনে করবো। কোনটিকে আমরা বলবো, না, এগুলো আমাদের দরকার ছিল না। প্রয়োজনের নিরীখেই ব্যয় করা হয়েছে।

সম্পূরক বাজেটের দাবির পরিমাণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই ২৭ মন্ত্রণালয়ে মোট বরাদ্দ ১ লাখ ১১ হাজার ৮৬০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর মোট ব্যয় ১ লাখ ৩০ হাজার ২৩০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সম্পূরক দাবি ১৮ হাজার ৩৭০ কোটি ২২ লাখ টাকা।

বেশি খরচের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষাকে মান্ধাতা আমলের শিক্ষা হিসেবে রাখা হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষাকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসতে চান। সেজন্যই ব্যয় বেড়েছে।

জাতীয় পার্টির সদস্য সেলিম উদ্দিন আলোচনায় অংশ নিয়ে সম্পূরক বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে কাজের অগ্রগতি ৫১ শতাংশ আর শেষ দুই মাসে কিভাবে ৪১ শতাংশ কাজ হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আর ৩৫টি মন্ত্রণালয় যে বরাদ্দকৃত টাকা খরচ করতে পারলো না। সেটা আসলে তারা কি কাজ করেছে, কি করেনি উল্লেখ করা দরকার।

এইচএস/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।