আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে


প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ০৪ জুন ২০১৭

আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে জব্দকৃত প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ এবং সাত হাজার ৩৬৯ পিস হীরার অলংকার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এসবের মূল্য প্রায় ২১৯ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

রোববার এমব স্বর্ণ ও হীরার অলংকার আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দের পর বাংলাদেশ ব্যাংককে জমা দেওয়া হয়।

শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক দিপা রানী হালদার এ তথ্য জানিয়েছেন।  

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের ৫টি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৩ মষ স্বর্ণ ও ৭ হাজার ৩৬৯ পিস হীরার অলংকার সাময়িকভাবে জব্দ করেন। এসব অলংকার মজুদের বিষয়ে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারায় তা চোরাচালান হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

ফলে আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দ করা ২১৯ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকা মূল্যের মোট সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালংকার এবং আনুমানিক ১০ কোটি টাকার ৭ হাজার ৩৬৯ পিস হীরার অলংকার আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।

স্বর্ণ জব্দ ও বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ, র্যাব, ভ্যাট কমিশনার, কাস্টম হাউসের প্রতিনিধিরা। এছাড়া বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) নেতারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে বলে অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।     

একইসঙ্গে  ৫টি শাখা থেকে ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ১০০ মার্কিন ডলার জব্দ করা হযেছে।

আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি হলে রাষ্ট্রের অনুকূলে এসব বাজেয়াপ্ত হতে পারে। একইসঙ্গে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে শুল্ক ও অন্যান্য অপরাধের কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়- এমন অভিযোগ এনে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী দুই তরুণী। মামলায় অভিযুক্ত একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত আহমেদ। সাফাতসহ ৫ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ওই ঘটনার পর আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে তার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। এছাড়া বিভিন্ন মহল থেকে আপন জুয়েলার্স বর্জনেরও দাবি ওঠে।

শুল্ক গোয়েন্দারা গত ১৪ ও ১৫ মে আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৯ গ্রাম হীরা ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িকভাবে জব্দ করে। এগুলো পরে আইনিভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়।

আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার সুযোগ দিলেও তারা কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।

এসআই/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।