দ্রুত বিচার আইন সংশোধন হচ্ছে


প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ০৪ জুন ২০১৭

দফায় দফায় ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও শেষ পর্যন্ত আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আইনটি সংশোধনের জন্য ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন- ২০১৭’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আগামীকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকের অলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের আগে দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও ওই বছরের ৩০ মার্চ এক লাফে আইনটির মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন পাসের পর তা দুই বছরের জন্য কার্যকর করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ আইনের মেয়াদ দুই বছর করে বাড়ানো হয়। ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বছরের ৩০ মার্চ আইনটির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়।

মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে ২০১৪ সালে বলা হয়, ‘যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি, ক্ষতি সাধন, সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির সম্পত্তি নষ্ট বা ভাঙচুর করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভয়-ভীতি দেখানো বা দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার মতো অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনটির অধীনে তদন্তাধীন ও বিচারাধীন ১ হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।’

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রমাণিত হলে ২-৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।

এমইউএইচ/জেডএ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।