‘আইয়ুব বাচ্চু’র নেতৃত্বে নব্য জেএমবি


প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ০৪ জুন ২০১৭

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নব্য জেএমবির নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ের সদস্যরা নিহত হওয়ার পর সংগঠনের হাল ধরেন কথিত আইয়ুব বাচ্চু। নারায়ণগঞ্জে তামিম চৌধুরী ও সারোয়ার জাহানের পর মৌলভীবাজারের বড়হাটে অভিযানে মুসাও নিহত হলে নব্য জেএমবির আমিরের দায়িত্ব পান আইয়ুব।

রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। নব্য জেএমবির তিন সদস্য আটকের ঘটনায় এ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।

এর আগে গত ২৭ ও ২৮ মে সাভারের মধ্য গেন্ডা এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার দায়ের করা মামলায় সূত্র ধরে মনির হোসেন ওরফে সুমন ও তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তুহিনকে সাভার এবং কামাল হোসেনকে লহ্মীপুরের রায়পুর থেকে আটক করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, সাভারের ওই আস্তানাটিতে কথিত আইয়ুব বাচ্চু স্ত্রী-সন্তানসহ থাকতেন। অভিযানের আগে পুলিশের অস্তিত্ব টের পেয়ে মনির আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রীকে ওই বাসা থেকে সরিয়ে তৌহিদুলের কাছে নিয়ে যায়। পরে তৌহিদ কামালের সহায়তায় আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান।

আটক মনির নব্য জেএমবি’র বর্তমান আমির আইয়ুব বাচ্চুর সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত অপর আসামি কামাল তার আত্মীয় নব্য জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য হাসানের সহায়তায় ফিটকারী কারখানা ও সেলুনের প্রসাধনী ব্যবসার আড়ালে নব্য জেএমবি’র জন্য বিস্ফোরক ও অর্থ সংগ্রহে নিয়োজিত ছিল।

সাভারে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকগুলো আইয়ুব বাচ্চুর বাসাতেই ছিল। পরে মনির ও তৌহিদের সহায়তায় সেগুলো হাসানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই পরে বিস্ফোরকগুলো উদ্ধার করা হয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন নব্য জেএমবির তৃতীয় বা চতুর্থ সারির নেতা। নেতৃবৃন্দের মৃত্যুর পর সংগঠকের অভাবে নব্য জেএমবির হাল ধরেন বাচ্চু।

বাচ্চু ঢাকার কোন একটি নামকরা কলেজে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। লেখাপড়া শেষ না করেই ছাত্রাবস্থায় কথিত হিযরতে বের হন তিনি।

আটকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আইয়ুব বাচ্চুকে ধরার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

জেইউ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।