তামাকজাত পণ্যের কর প্রস্তাব নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ০২ জুন ২০১৭

বাজেটে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের কর প্রস্তাব নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো।

তামাক বিরোধী সংগঠন ক্যাট ও আধুনিক বাজেট পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে বিড়ি সিগারেট ও তামাক দ্রব্যের উপর কর বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ দিয়েছে।

তবে প্রস্তাবিত বাজেটে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেট ও ধোঁয়াবিহীন (গুল, জর্দ্দা) তামাকপণ্যে কর না বাড়ানোর প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ও তামাকবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন আত্মা।শুক্রবার পৃথক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের নেতারা এ কথা বলেছেন।

প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, গত একবছরে জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে তামাকপণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত রাখার অর্থ ভোক্তার কাছে এগুলো আরও সহজলভ্য হয়ে যাবে, লাভবান হবে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি।

অন্যদিকে সিগারেটের সর্বনিম্নস্তর ভেঙে দেশি ও আন্তর্জাতিক দু’টি স্তরে বিভক্ত করে তামাক কর-কাঠামোর জটিলতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

জুবায়ের বলেন, তামাকবিরোধীদের সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব গ্রহণ না করে করারোপের পুরানো ও জটিল অ্যাডভ্যালোরেম পদ্ধতিই বহাল রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় উৎপাদনকারি কোম্পানি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত নিম্ন মূল্যস্তরের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্য ২৩ টাকার স্থলে ২৭ টাকা এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সিগারেটের মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

`দেশীয় কোম্পানির ক্ষেত্রে এই মূল্যবৃদ্ধি প্রায় ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রায় ৫২ দশমিক ২ শতাংশ। এডভ্যালোরেম পদ্ধতি বহাল থাকায় এই দুটি পণ্যের মূল্য যতটুকু বাড়বে তার সিংহভাগই যাবে তামাক কোম্পানিগুলোর পকেটে।

একই সঙ্গে বিড়ির প্রচলিত ট্যারিফ ভ্যালু বিলুপ্ত করা হয়েছে। এতে বিড়ির কর আদায়ের জটিলতা কিছুটা হলেও সহজ হবে বলেন জুবায়ের।

এদিকে এবারের বাজেটকে স্বাস্থ্য ও গণবান্ধব উল্লেখ করে ক্যাট সভাপতি আলী নিয়ামত বলেন, তামাক, মাদক জঙ্গি উন্নয়নের মহা হুমকি।

এফএইচএস/এমএমএ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।