জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে পলিথিন বিরোধী অভিযান


প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ১২ মে ২০১৫

পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষা, জমিতে অপচনশীল ও পানিতে অদ্রবণীয় ক্ষতিকর  পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে এবং দেশের সোনালী অর্থকরী ফসল পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে  খুলনায় জুনের প্রথম সপ্তাহে অভিযান শুরু করবে টাস্কফোর্স।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারকে উৎসাহিত করা, পলিথিনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা এবং চাতাল মালিকদের বাধ্যতামূলকভাবে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং এর ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে সরকার খুলনাসহ সারাদেশে অভিযান শুরুর লক্ষ্যে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

সে লক্ষ্যে গত ৭-মে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর-এর পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ইশরাত জাহানকে সদস্য সচিব করে নয় সদস্য বিশিষ্ট টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়।

খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষা, জমিতে অপচনশীল ও পানিতে অদ্রবণীয় ক্ষতিকর এ পণ্যের ব্যবহার বন্ধ এবং দেশের সোনালী অর্থকরী ফসল পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে সরকার পলিথিনের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বন্ধে আইন প্রণয়ণ করে।

কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে একশ্রেণির অসৎ পলিথিন উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী খুলনাসহ সারাদেশে দীর্ঘদিন ধরে পলিথিনের রমরমা ব্যবসা করে আসছে। আর এই পলিথিনের ব্যবহার শেষে তা’ যেখানে-সেখানে ফেলায় পরিবেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় এই চক্রটি বেসামাল হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশব্যাপী পলিথিন ব্যবহার বিরোধী অভিযান জোরদার করার লক্ষ্যে সরকার সম্প্রতি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে খুলনায় পলিথিন ব্যবহার বিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।

তিনি অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীবৃন্দ ও তাদের সংগঠনসহ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এই ফোর্স পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পাট শিল্প রক্ষায় কাজ করে যাবে।

এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।