চিকিৎসককে ৮ ঘণ্টা আটকে রেখে পেটালো ছাত্রলীগ


প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ১১ মে ২০১৫

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. হারুন উর রশিদকে ৮ ঘণ্টা আটকে রেখে পিটিয়েছেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি উৎপল দাস ও তার অনুসারীরা। ‘টাকা না দিয়ে’ কাজে যোগ দেওয়ায়’ তাকে পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে ডা. হারুন উর রশিদ হাসপাতালে তার চাকরীর প্রথম কর্মদিবসে দায়িত্ব পালন করতে আসেন। ১০টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগের ১০১ নম্বর কক্ষে দায়িত্ব পালনের সময় উৎপল দাস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শাওন দাসসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাকে টেনেহিঁচড়ে ইন্টার্ন হোস্টেলে নিয়ে যান। এরপর নীচতলার একটি কক্ষে আটকে রেখে প্রায় ৮ ঘণ্টা মারধর করেন ডা. হারুন উর রশিদকে। রাত ৮টার দিকে তাকে কক্ষ থেকে বের করে হোস্টেলের বাইরে ফেলে দিলে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।

ড. হারুন অভিযোগ করেছেন, উৎপল দাস বেশ কয়েকবার তার কাছে টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ায় তাকে মেরেছেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগের অন্তর্ন্দ্বন্দ্ব থেকে উৎপল দাসরা তাকে মারধর করেছেন। ডা. হারুনও ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি রাজনৈতিক বিষয় তাই আমরা আর কি করবো। তবে এটি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে জানাবো।’

এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।